সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় বিভাগের দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ‘ফুটবল ঈশ্বর’ ডিয়েগো ম্যারাডোনা। বেশ কয়েক মাস আগে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ঘোষণা দেন নতুন করে দায়িত্ব নিচ্ছেন বেলারুশ ক্লাব ডায়নামো ব্রেস্টের। এতদিন কোচের ভূমিকায় দেখা গেলেও এবার তাকে দেখা যাচ্ছে চেয়ারম্যানের ভূমিকায়। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেস্টের দায়িত্ব বুঝে পেয়েছেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী।
বেলারুসের ক্লাবটিতে তার যোগ দেওয়ার খবর বেশ আলোড়ন তুলেছে। দুই বছর আগে প্রায় দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল ডায়নামো ব্রেস্ট। যদিও সেই অবস্থায় শেষ পর্যন্ত আর পড়তে হয়নি। ক্লাবটির বর্তমান দায়িত্বে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারী।
ক্লাবটি সম্পর্কে স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যও তেমন। ঘরোয়া লিগে কখনও শিরোপা জেতা হয়নি ডায়নামো ব্রেস্টের। রয়টার্সকে এক সমর্থক জানিয়েছেন ক্লাবটির করুণ দশার কথা, ‘কয়েক বছর আগেও ক্লাবের তেমন অর্থ ছিল না। তাই তারা দলের জার্সি কিনতে সমর্থকদের দ্বারস্থ হতো। ফান্ড তৈরি করতেও তাদের হিমশিম খেতে হতো।’
তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বিনিয়োগকারী পেয়ে রাতারাতি বদলে গেছে ডায়নামো ব্রেস্ট। ঘরোয়া ফুটবলে ভিন্ন টুর্নামেন্টে জেতা হয়েছে দুটি কাপ। এখন ৩০ হাজার আসনের আলাদা স্টেডিয়াম তৈরিরও চিন্তা করছে এর ম্যানেজমেন্ট। তাই ম্যারাডোনাকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ক্লাবটির পরিচালক ভিক্টর রাদকভ, ‘বস ম্যারাডোনা যেহেতু আসবেন। আমার মনে হয় বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের খেলা দেখতে অনেকেই ভিড় জমাবেন।’
ক্লাবটিকে কৌশলগত উন্নয়নের বিষয়টি দেখভাল করবেন ম্যারাডোনা। তাতে বোঝাই যাচ্ছে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হতে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী তারকাকে এই গুরু দায়িত্ব দিয়েছে ডায়নামো ব্রেস্ট।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে দ্বিতীয় বিভাগের দল আল ফুজাইরাহতে ছিলেন বিশ্বকাপ এই জয়ী তারকা। কিন্তু দলটিকে প্রথম বিভাগে তোলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এর আগে তিনি কাজ করেছেন আরব আমিরাতের প্রথম বিভাগের দল আল ওয়ালশে। আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবেও ম্যারাডোনা কাজ করেছেন ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত।