fakhar-zamanফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে নিল পাকিস্তান। আর নিজেদের টি-টুয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১৮৩ রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়লো সরফরাজের দল। এ নিয়ে টানা ৯টি টি-টুয়েন্টি সিরিজ জিতলো তারা।

অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ১৮৪ রানের বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের প্রথম ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে বিশাল চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। সেখান থেকে আক্রমণাত্মক খেলে দলকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সরফরাজ। ফখর জামানকে নিয়ে ২৮ বলে যোগ করেন ৪৫ রান। ব্যাক্তিগত ২৮ রানে সরফরাজ ফিরে গেলে ঝড় শুরু করেন ফখর জামান। শোয়েব মালিককে নিয়ে মাত্র ১০.৪ ওভারে ১০৭ রান যোগ করেন তিনি। খেলেন এক ম্যাচ উইনিং টর্নেডো ইনিংস। ১২চার ও ৩ছক্কায় মাত্র ৪৬ বলে ৯১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে দলের জয় যখন হাতের নাগালে তখন ফিরে যান তিনি।

chardike-ad

ফখর আউট হলে বাকি কাজটি করেন শোয়েব মালিক। তার অপরাজিত ৩৭ বলে ৪৩ রানে ৪ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। ফলে ২৮ বছর পর অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে কোন টুর্নামেন্ট জিতলো পাকিস্তান।

এর আগে অজি ওপেনার ডি’আরসি শর্টের অসাধারণ ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৮৪ রানের টার্গেট দিল অস্ট্রেলিয়া। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডি’আরসি শর্টের ব্যাটে দুর্দান্ত শুরু করে অস্ট্রলিয়া। মাত্র ৯.৫ ওভারে ৯৫ রান যোগ করেন এই দুই ওপেনার। ২৭ বলে ৪৭ রান করে ফিঞ্চ ফিরে গেলেও খেলে যান শর্ট।

প্রথম দিকে ১০০ এর কাছাকাছি স্ট্রাইকরেট নিয়ে খেলা শর্ট ভভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন ফিঞ্চ ফেরার পর। এর মাঝে তুলে নেন দুর্দান্ত এক অর্ধশতক। একসময় মনে হচ্ছিল দুশো পার হবে অজিদের সংগ্রহ। কিন্তু ৫৩ বলে ৭চার ও ৪ছক্কায় ৭৬ রান করে ফিরে গেলে রানের চাকা কিছুটা ধীরগতির হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার। শেষ দিকে ট্রাভিস হেড ১১ বলে ১৯ ছাড়া অন্য কেউ আর দাঁড়াতে না পারলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৩ রান করে অস্ট্রেলিয়া।

পাকিস্তানের পক্ষে ৩৩ রানে ৩টি উইকেট নেন তারকা পেসার মোহাম্মদ আমির। দুটি উইকেট শাদাব খানের।