এবার ঘর ভাঙতে যাচ্ছে অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর। তিনি নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, তাকে তালাকের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।
গণমাধ্যমকে শ্রবান্তী জানান, গত ৭ মে তাকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন খোরশেদ আলম। বগুড়া সদরের কালীতলার শিববাড়ি সড়কে শ্রাবন্তীর বাবার বাসার ঠিকানায় সেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গত ২৬ মে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলাও করেছেন।
শ্রাবন্তী দীর্ঘদিন যাবৎ যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। হঠাৎ করেই ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দেশে আসেন। তখনই জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে তার দূরত্ব বেড়েছে। তার ওপর রাগ করেই তার স্বামী যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী-সন্তানদের রেখে দেশে চলে আসেন এবং চাকরিতে যোগ দেন। শ্রাবন্তী তখন স্বামীকে ফেরাতে দেশে আসেন; ওঠেন বগুড়ায় নানাবাড়িতে। কিন্তু, স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন তিনি।
বাধ্য হয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান শ্রাবন্তী। সেখানেই পান তালাকের নোটিশ। এরপর শ্রাবন্তী দেশে ফিরে আসেন গত ২৫ জুন। বর্তমানে তিনি বগুড়াতে রয়েছেন। সেখানে তার সঙ্গে রয়েছে তাদের দুই সন্তান- সাত বছরের মেয়ে রাবিয়াহ আলম এবং সাড়ে তিন বছরের মেয়ে আরিশা আলম। আগামী ৪ জুলাই মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে শ্রাবন্তী ঢাকায় আসবেন বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে শ্রাবন্তীর অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছন তার স্বামী খোরশেদ আলম। তিনি পাল্টা অভিযোগ এনেছেন শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেছেন, আমি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম শ্রাবন্তীকে। যারা আমার কাছের মানুষ, তারা জানেন অনেক ছাড় দিয়েছি আমি ওকে পাওয়ার জন্য। কিন্তু শ্রাবন্তীর যেসব ব্যাপারে ছাড় দিয়েছিলাম সেসব থেকে শ্রাবন্তী এখনো সরে আসতে পারেনি। এতদিন আমি ব্যাপারগুলো সামনে আনতে চাইনি, কারণ তা আমাদের কারও জন্যই ভালো হবে না। আমার সন্তানদের জন্য ভালো হতো না। কিন্তু এখন আর আমার জন্য কোনো পথ খোলা নেই। বিচ্ছেদের পথেই হাঁটতে হবে।’
প্রসঙ্গত, মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে একটা সময় ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তী। মোহনীয় হাসি দিয়ে তিনি জয় করেছেন দর্শক হৃদয়। আলাদা করে আলোচনায় এসেছিলেন ‘জোছনার ফুল’ ধারাবাহিক নাটক দিয়ে।
এছাড়াও ‘রং নাম্বার’ সিনেমার মাধ্যমে বেশ সাড়া জাগিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। তবে দীর্ঘদিন ধরে সব রকম আলোচনার বাইরে তিনি। ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন এনটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা খোরশেদ আলমের সঙ্গে।