মালয়েশিয়ার পিকেনানাস ক্যাম্পে দেশে ফেরতের অপেক্ষায় রয়েছেন ১৩৭ বাংলাদেশি। মালয়েশিয়ায় নিয়োজিত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলাম ১ জুলাই দুপুরে মালয়েশিয়ার জহুরবারু ইমিগ্রেশন ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনকালে তিনি বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বন্দিদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলাম, প্রথম সচিব (শ্রম) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল। ক্যাম্প কমান্ডার মি সারবিনি ও ক্যাম্পের অন্যান্য অফিসাররা রাষ্ট্রদূতকে তারা স্বাগত জানান।
পিকে নানাস ক্যাম্প কর্মকর্তাদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন রাষ্ট্রদূত। সভায় রাষ্ট্রদূত ক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশের নাগরিকদের দ্রুত দেশে প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ভিসা-সংক্রান্ত অপরাধ ছাড়া এদের কোন অপরাধ নেই। তাই শুধু দেশে প্রেরণের জন্য অনেকদিন অপেক্ষায় না রেখে দ্রুততম সময়ে দেশে প্রেরণ করা হোক। যাদের পাসপোর্ট নেই তাদের ট্রাভেল পারমিট হাইকমিশন থেকে দেয়া হচ্ছে, টিকিট দেয়া হচ্ছে। ক্যাম্প যদি আরও সহানুভূতি দেখায় এজন্য অনুরোধ করেন।
হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, দেশটির ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে মালয়েশিয়ান আইন-অনুযায়ী পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকা, পাসপোর্ট ও ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া এবং সাগর বা স্থলপথে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করে বিচার ও জেল শেষে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য রাখা হয় পিকেনানাস ক্যাম্পে। এরপর হাইকমিশন থেকে অস্থায়ী ট্রাভেল পাশ ইস্যু করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে নিজেকে বিমান ভাড়া বহন করতে হয়।
পিকেনানাস ক্যাম্পে ১৩৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরতের অপেক্ষায় আছেন। তাদের জাতীয়তা নিরূপণ করে ট্রাভেল পাশ ইস্যু করা হচ্ছে বলে জানান কাউন্সিলার (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ হাইকমিশন এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম জানান, বন্দিশিবিরে যারা আটক আছেন তাদের দ্রুত দেশে পাঠানোর সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যাদের কেউ নেই অথবা টিকিটের ব্যবস্থা হচ্ছে না তাদের দূতাবাসের পাশাপাশি জনহিতৈশী কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতায় বিমান টিকিট দিয়ে তাদের দেশে পাঠানো হয়।