যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো আক্রমণাত্মক বক্তব্যের তাত্ক্ষণিক জবাব দেওয়ার যে রীতি উত্তর কোরিয়ার রয়েছে, সেটা এবার দেখা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শুক্রবার উত্তর কোরিয়াকে ‘মারাত্মক হুমকি’ অ্যাখ্যা দিলেও পিয়ংইয়ং কোনো কড়া কথা বলেনি। উল্টো গত রবিবার তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে চায় উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনঘেঁষা উরিমিনজোক্কিরি শীর্ষক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প-উনের গত ১২ জুনের যৌথ ঘোষণার বাস্তবায়নে উভয় পক্ষকে এগিয়ে যেতে হবে। কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্তকরণে উন দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
উরিমিনজোক্কিরির প্রতিবেদনে উনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়া হয়নি, তবে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনুযায়ী উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো পরিকল্পনার কথাও বলা হয়নি। এ ছাড়া কোরীয় যুদ্ধে নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যক্তিদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও ওয়েবসাইটে কিছু বলা হয়নি।
উল্লেখ্য, কোরীয় যুদ্ধে নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্যদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র গত শনিবার ১০০টি কফিন উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যবর্তী এলাকায় পাঠিয়েছে। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট।