ইরানের ভূগর্ভে বিস্ময়কর সুপেয় পানির মজুদের সন্ধান মিলেছে। দেশটির মূল ভূখণ্ডের প্রায় ১১ শতাংশ জুড়ে রয়েছে পানির এই প্রাকৃতিক মজুদ। সংকটকালীন সময়ে এই পানি ব্যবহারের জন্য ইতোমধ্যে গবেষণাও চালানো হয়েছে।
‘কারস্ট কেইভস’ হিসেবে পরিচিত প্রাকৃতিক পানির এই মজুদ হলো ভূমির এমন গঠন যা লাইমস্টোন (ক্যালসিয়াম কার্বোনেট), ডোলামাইট এবং জিপসামে গঠিত। দ্রবণীয় এসব পাথুরে এলাকায় রয়েছে গুহার মতো ছোট ছোট পানির মজুদ।
‘কারস্ট ওয়াটার’ তথা কারস্ট পানি এখন গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। কারস্ট পানির রাসায়নিক গঠন স্থিতিশীল নয়। কারস্ট কার্বোনেট পাথর থেকে উৎপত্তি হওয়া অধিকাংশ ঝর্ণার পানিই সুপেয়। কিছু উন্নত সল্ট কারস্ট এলাকায় উঁচু মানের মিনারেল সমৃদ্ধ পানি পাওয়া যায়।
ইরানের ‘কারস্ট কেইভস’ এবং ভূগর্ভের কারস্ট পানি ব্যবহারের সম্ভাব্যতা নিয়ে রুশ গণমাধ্যম স্পুৎনিকের সঙ্গে কথা বলেন তেহরান ইউনিভার্সিটির স্কুল অব জিওলজির অধ্যাপক মোহাম্মদ আরিয়ানমানেশ।
তার মতে, ইরানের ব্যতিক্রমী ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থার পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ। এই প্রাকৃতিক সম্পদগুলার একটি হলো কারস্ট পানি যা পান করার পানি হিসেবে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাবে।
ইরানের ভূ-তাত্ত্বিক গঠন প্রক্রিয়ার ধরন পরিবর্তনের ইতিহাস রয়েছে। তবে কারস্ট পানির উৎসের অস্তিত্বের পাশাপাশি ভূগর্ভের অনেক নিচে পানি থাকার বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে নিশ্চিত।
অধ্যাপক আরিয়ানমানেশের মতে, ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পানির মজুদ রয়েছে যা সঠিকভাবে ব্যবহার হয়নি। এটা ইরানের সুপেয় পানির চ্যালেঞ্জ এবং সংকট মোকাবেলার সম্ভাবনা জাগিয়েছে।
কারস্ট পানি ব্যবহারের ফলে ভূ-উপরিভাগের গঠনে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পানি এমনভাবে তুলতে হবে যাতে এর উৎস এবং গঠন একেবারে শূন্য হয়ে না যায়।