আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথম দুইটি টি-টোয়েন্টিতে ১৩ ও ০ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে সাব্বির রহমানের বাদ পড়াটা তাই খুব বড় ধাক্কা হয়ে আসেনি। তবে ক্রিকবাজ দাবি করেছে, সাব্বিরের বাদ পড়াটা ফর্মের জন্য নয়, বরং শৃঙ্খলাগত কারণে। মেহেদী হাসান মিরাজের সাথে দুর্ব্যবহারের জের ধরেই দল থেকে বাদ পড়েছেন সাব্বির।
ক্রিকবাজ বলছে, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির সময়ই মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়েছিলেন সাব্বির। পরে সেটা গড়ায় হাতাহাতিতে। টিম ম্যানেজমেন্ট তাতে সাব্বিরের দায়ই দেখছে, সেকারণে শেষ ম্যাচে মিরাজ খেললেও সাব্বির বসে ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ দলের একজন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ঘটনাটা খুব বেশিদূর গড়ায়নি। শুধু সামান্য ভুল বোঝাবুঝি, এজন্য ম্যানেজারের রিপোর্টেও তা ছিল না। আফগানিস্তান সিরিজে অবশ্য দলের সঙ্গে শুধু দুইজন কর্মকর্তা গিয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।
সাব্বিরের শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা অবশ্য বিস্ময় জাগাবে না মোটেই। এই মুহূর্তেই সব ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ আছেন। গত ডিসেম্বরে জাতীয় লিগের একটা ম্যাচে একজন কিশোর দর্শককে পেটানোর জন্য ছয় মাস ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন সাব্বির। ২০ লাখ টাকা জরিমানার সঙ্গে বাদ পড়েছেন জাতীয় দলের চুক্তি থেকেও। তার আগে গত বিপিএলে আম্পায়ারের সঙ্গে অশোভন আচরণের জন্য ম্যাচ ফির অর্ধেক জরিমানা হয়েছিল। এর আগের বিপিএলে গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য জরিমানা করা হয়েছিল ১২ লাখ টাকা।