জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ মালিকসহ ১৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুয়ালা লামপুর পুলিশ শুক্রবার জানায়, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বিদেশি ৯জন। অস্ত্র চোরাচালান ও ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা পরিকল্পনায় সংশ্লিষ্ট সন্দেহে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ ফুজি হারুন জানান, ২৭ মার্চ থেকে ৯ মে পর্যন্ত পরিচালিত বিভিন্ন নিরাপত্তা অভিযানে এই ১৫ জন কে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে ৬ জন মালয়েশীয়, ৬ জন ফিলিপিনো, একজন বাংলাদেশি ও উত্তর আফ্রিকার একটি দেশের এক দম্পতি।
ফুজি জানান, এদের মধ্যে ১৭ বছরের এক স্কুলছাত্র রয়েছে। তাকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্য হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে। কুয়ালা লামপুরে গির্জা, বিনোদনকেন্দ্র ও হিন্দুদের মন্দিরে লোন উলফ হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে ।
ফুজি আরও জানান, ওই কিশোর ছয়টি পেট্রোল বোমা বানিয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরীক্ষাও করেছে। গ্রেফতার হওয়া ৫১ বছরের এক গৃহিনী মালয়েশিয়ার সাধারণ নির্বাচনের দিন মুসলিম ভোটারদের উপর গাড়ি চালিয়ে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন।
বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ মালিককে জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে। এছাড়া ছয় ফিলিপাইনের নাগরিক আইএসে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছিল।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়ায় সহিংসতার আশঙ্কায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। গত কয়েক বছরে জঙ্গিবাদে সন্দেহের অভিযোগে কয়েকশ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কখনও বড় ধরনের কোনও হামলা হয়নি। ২০১৬ সালে কুয়ালা লামপুরের উপকণ্ঠে একটি পানশালায় গ্রেনেড হামলার দায় স্বীকার করেছিল আইএস। মালয়েশিয়ায় এটাই ছিল এধরনের প্রথম হামলার ঘটনা।