আমরা নানা দেশের নানান ধরনের নাগরিকত্বের ইতিহাস দেখতে পাই। বর্তমানে আমরা সভ্যতার চরম শিখরে বসবাস করছি এবং অত্যাধুনিক জীবনের সব রকম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ছুটে চলা শুধু একটু ভালো থাকার জন্য। আর এ জন্য মানুষ কতই না চেষ্টা করছে। এমনকি বাবা-মা, স্ত্রী, পরিবার-পরিজন ছেড়ে দেশান্তরিত হচ্ছে। আসুন জেনে নেই যেকোন দেশ যেভাবে নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে-
জন্মসূত্রে: যখন একটি সন্তান একটি দেশে জন্মগ্রহণ করে; তখন শিশুটি জন্মসূত্রে সে দেশের নাগরিকত্ব পায়। এ ক্ষেত্রে কোনো কোনো দেশ জন্মনীতি বা জন্মস্থান নীতি পালন করে থাকে। যেমন- কানাডা, আমেরিকা জন্মস্থান নীতি পালন করে। অন্যদিকে জাপান, ফ্রান্স জন্মনীতি পালন করে। জন্মনীতি হলো, পিতা-মাতা বা পূর্বপুরুষের রক্তের সম্পর্ক অনুসারে নাগরিকত্ব।
বৈবাহিক সূত্রে: যখন আপনি অন্য একটি দেশের মেয়েকে বিয়ে করছেন; তখন আপনি বৈবাহিক সূত্রে সেই দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে ন্যূনতম ৩-৫ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এটি নাগরিকত্ব পাওয়ার অন্যতম সহজ উপায়।
বিনিয়োগের মাধ্যমে: বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের বিনিয়োগ নীতিমালা মেনে চলতে হবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে, যা তাদের বিনিয়োগ বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত। যেমন- কানাডাতে আপনাকে ন্যূনতম দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। আর এ বিনিয়োগের মাধ্যমেই পাবেন নাগরিকত্ব। এটি ব্যবসায়ীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। এ পদ্ধতি পৃথিবীর অনেক দেশেই চালু আছে।
প্রাকৃতিকভাবে: যখন আপনি একটি দেশে বৈধভাবে ন্যূনতম ৫-১০ বছর বসবাস করবেন এবং সে দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতিফলন নিজের মধ্যে ঘটাবেন; তখন আপনি এমনিতেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।
পড়াশোনা শেষে: আপনি পড়াশোনা শেষে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এ পদ্ধতি পৃথিবীর সব দেশে চালু নেই। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে পড়াশোনার পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
অন্যান্য: এর বাইরেও আপনি যে দেশের নাগরিক হবেন; সে দেশের ভাষা অবশ্যই জানতে হবে। সে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে এবং নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে।