Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

shahjalal-airportরাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেই প্রয়োজনীয় লাগেজ বেল্ট ও এগুলোর ধারণক্ষমতা। একদিকে যেমন লাগেজ পেতে সময় বেশি লাগছে অন্যদিকে এই সুযোগে বাড়ছে চুরির ঘটনা। এর ফলে বিমানবন্দরটিতে বেড়েই চলেছে যাত্রী হয়রানি।

বিমানবন্দরে একাধিক সংস্থার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শাহজালালে প্রতিনিয়তই বাড়ছে যাত্রীর সংখ্যা। তবে বাড়েনি লাগেজ বেল্ট ও এগুলোর ধারণক্ষমতা। যার প্রভাব পড়ছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায়। বাড়ছে চুরির ঘটনা।

chardike-ad

বিমানবন্দরে কর্মরত বেবিচক (বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ) ও এয়ারলাইন্সের কর্মীদের বিরুদ্ধে যাত্রীদের মালামাল চুরির অভিযোগ বাড়ছে। চলতি সপ্তাহে যাত্রীর দামি মোবাইল সেটসহ এক এয়ারলাইন্সকর্মীকে আটকে করেছে এপিবিএন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেবিচক এসবে মনোযোগ না দিলে যাত্রী ভোগান্তি চরমে পৌঁছাতে পারে।

ভুক্তভোগী এক যাত্রী বৃহস্পতিবার জানান, তিনি রিয়াদ থেকে এসে লাগেজের জন্য সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। এর মধ্যে একবার বেল্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নড়বড়ে লাগেজ বেল্ট ও যন্ত্রপাতি দিয়েই চলছে দেশের বিমানবন্দরগুলো। এতে যাত্রীদের মালামাল বুঝিয়ে দিতে হিমশিম খাচ্ছেন গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা লোকজন।

আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মান অনুযায়ী যাত্রীদের লাগেজ এরিয়ায় আসার আগেই মালামাল বেল্টে উঠে যাওয়ার কথা। কিন্তু শাহজালাল তা হয় না। শাহজালালে আগমনের জন্য আটটি এবং বহির্গমনের জন্য পাঁচটি লাগেজ বেল্ট রয়েছে। চাপ বাড়লে এগুলোর বেশিরভাগই ঠিকমতো কাজ করে না।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাঈম হাসান বলেন, ব্যাগেজ বেল্টগুলো কিছু পুরনো। বিমানবন্দরে লাগেজ হ্যান্ডেল করে বিমান। এর উন্নয়নে বিমান বেশকিছু নতুন ইকুইপমেন্ট স্থাপন করেছে। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন ভালো সার্ভিস দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) মু. ইনামুল বারী বলেন, বিমানের গ্রাউন্ড সার্ভিসে কাজ করা শ্রমিকরা সীমিত সুবিধার মধ্যে উত্তম সেবা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অ্যাপ্রোন এরিয়ায় গরমে কাজ করেন তারা। আমাদের বেশকিছু সমস্যা রয়েছে তারপরও চেষ্টা চলছে ভালো কিছু করার।