বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ শ্রমিক নেওয়ার যে চুক্তি ছিল তা পর্যালোচনা করবে মালয়েশিয়া। এ ছাড়া বিদেশি শ্রমিকের নির্ভরতা কমিয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে দেশিয় শ্রমিকদের এবং বেতন ভাতা বাড়ানো হবে। বৃহস্পতিবার ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোর্ট পরিদর্শন করে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী এম কুলাসেগারান।
সংবাদ মাধ্যম নিউ স্টেইটস টাইমস বলছে, দেশটির মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী এম কুলাসেগারান বলেছেন, বিদেশি শ্রমিকদের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনতে চাইছে সরকার। আর সেই সঙ্গে স্থানীয়দের বেতন বাড়াতে চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই সব কিছুই পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।’
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বিদেশি শ্রমিকদের দেশে পাঠানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে কিছু সময় লাগবে। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে যারা বৈধ কাজ করছেন তাদেরকে দেশ ছাড়তে হবে না।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এক সময় যে চাকরিগুলো বিদেশিরা করতেন সেখানে শূন্য পদ সৃষ্টিতে কাজ করবে সরকার। এসব শূন্যপদ পূরণ করে মালয়েশীয়দের নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যদি আপনি নিউজিল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়া যান তাহলে সেখানে কোনো বিদেশি শ্রমিক পাবেন না। আমাদেরও তাই করতে হবে।’
২০১৬ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এতে বলা হয়, তিন বছরের মধ্যে ১৫ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া।
গত ৯ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৯৫৭ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা ন্যাশনাল ফ্রন্টের পতন হয়। ওই জোটের নেতৃত্বে ছিলেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। নির্বাচনে মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন জোট ‘অ্যালায়েন্স অব হোপ’ জয়লাভ করে। এক সময় এই জোট থেকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন মাহাথির।
নাজিবের আমলে করা এই সমঝোতা চুক্তিকে আবার পর্যালোচনা করা হবে। চার দিন আগে এই মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান এম কুলাসেগারান। নির্বাচনের আগে মাহাথিরের দল অঙ্গীকার করেছিল বিদেশি শ্রমিকদের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় কর্মশক্তিকে কাজে লাগানো।
সৌজন্যে- এনটিভিবিডি