শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠল না মুম্বাই। আইপিএলের এবারের আসর থেকে প্লে-অফের আগেই বিদায় নিল দলটি। টুর্নামেন্টের প্রথম দিকে তেমন নজরকাড়া পারফরম্যান্স করতে না পারলেও শেষ দিকে এসে দুর্দান্তভাবে কামব্যাক করে দলটি। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচটিতে জয় পেলেই নিশ্চিত হতো প্লে-অফ। কিন্তু তাদের সেই আশাকে মাটিতে মিশিয়ে ১১ রানের জয় তুলে নেয় দিল্লি।
দিল্লির দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সুর্যকুমার যাদবকে হারিয়ে বিপদে পরে মুম্বাই। ওয়ান ডাউনে নেমে সুবিধা করতে পারেন নি ইশান কিষানও। ১৩ বলে মাত্র ৫ রান করে অমিত মিশ্রর শিকারে পরিণত হন। এক প্রান্ত আগলে রেখে অর্ধশতকের দিকে এগোচ্ছিলেন এভিন লুইস। কিন্তু তিনিও ব্যক্তিগত ৪৮ রানে ফিরে যান দলকে ৭৪ রানে রেখে। পোলার্ড কিংবা ক্রুনাল পান্ডিয়া কেউই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেন নি। দু’জনেই আউট হন দ্রুত।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে ৩৫ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু দলকে ৫৬ রান দূরে রেখেই আউট হন রোহিত। হার্দিকও ফিরে গেলে মুম্বাইর হার তখন সময়ের ব্যাপার ছিল মাত্র। কিন্তু শেষ দিকে বেন কাটিংয়ের ২০ বলে ৩৭ রান কিছুট আশা জাগায় মুম্বাই শিবিরে।তবে শেষ রক্ষা আর হয় নি দলটার। ৩ বল বাকিত থাকতে ১৬৪ রান অলআউট হয়ে যায় দলটি।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় দিল্লি। ম্যাচে মোস্তাফিজের প্রথম বলেই রানআউট হন দিল্লির ব্যাটসম্যান প্রিথভি শ। বেশিক্ষন টেকেননি ম্যাক্সওয়েলও। বুমরাহর বলে ২২ রান করে বোল্ড হলে ৩৮ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে দিল্লি।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩৭ রান করে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন অধিনায়ক আয়ার এবং রিশভ পান্ট। আয়ার আউট হলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ভিজয় সঙ্করকে নিয়ে ৬৪ রানের জুটি গড়েন পান্ট। ৪টি চার এবং ৪টি ছয়ে পান্ডিয়ার বলে ৬৪ রানে আউট হলেও কাজের কাজ তিনি আগেই করেছেন। শেষ দিকে ভিজয় শঙ্করের ৩০ বলে ৪০ এবং অভিষেক শর্মার ১০ বলে ১৫ দলটিকে দেয় ১৭৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ। মোস্তাফিজ চার ওভারে ৩৪ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি।