কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭১তম আসরে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকসের (ফিপরেস্কি) বিচারে প্রতিযোগিতা বিভাগ থেকে সেরা হলো দক্ষিণ কোরিয়ার লি চ্যাং-ডং পরিচালিত ‘বার্নিং’। ফলে স্বর্ণপাম জয়ের দৌড়ে একধাপ এগিয়ে গেলো ছবিটি।
শনিবার (১৯ মে) বিকাল ৪টায় কান উৎসবের মূলকেন্দ্র পালে দো ফেস্টিভ্যাল ভবনের সাল দো অ্যাম্বাসাদরে লি চ্যাং-ডংয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফিপরেস্কি পুরস্কার।
‘বার্নিং’-এর গল্পে দেখা যায়, ডেলিভারিম্যান জংসু তার এক সময়ের প্রতিবেশী হায়েমির জন্য চাকরি ছেড়ে দেয়। মেয়েটি আফ্রিকায় যাবে, তাই তার বিড়ালকে দেখভালের দায়িত্ব নেয় জংসু। বেড়ানোর সময় পরিচিত হওয়া বেনকে সঙ্গে নিয়ে ফেরে হায়েমি। একদিন জংসুকে নিজের সবচেয়ে অস্বাভাবিক শখের কথা বলে বেন।
ফিপরেস্কি পাওয়ায় শনিবার উৎসবের সমাপনী মঞ্চে লি চ্যাং-ডং যে অন্তত একটি হলেও পুরস্কার পাবেন তা মোটামুটি নিশ্চিত।
এদিকে আঁ সার্তেন রিগার্দ বিভাগে প্রদর্শিত ছবিগুলোর মধ্যে বেলজিয়ামের লুকাস দোন্ত পরিচালিত ‘গার্ল’। এর গল্প লারাকে ঘিরে। তার বয়স ১৫ বছর। পেশাদার ব্যালেরিনা হতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সে। বাবার সহায়তায় নতুন একটি স্কুলে ভর্তি হয় মেয়েটি। কিন্তু ব্যালেরিনা হওয়ার মতো শারীরিক গড়ন নেই বলে হতাশা ও অস্থিরতা পেয়ে বসে তাকে। কারণ সে জন্ম নিয়েছে ছেলের মতো শরীর নিয়ে!
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস উইকে নির্বাচিত ছবিগুলোর মধ্যে সেরা হাঙ্গেরির সোফিয়া সিলাগির ‘ওয়ানডে’। এর গল্প ৪০ বছর বয়সী আনাকে ঘিরে। স্বামী, তিন সন্তান, চাকরি, অর্থনৈতিক চাপ— এ নিয়ে দিন কাটে তার। সে অফিস ও ঘরের সবকিছুই মনে রাখে, যত্ন নেয়। কিন্তু কখনও স্বামীর সান্নিধ্য পায় না বলার মতো। তার মনে হতে থাকে স্বামীকে হারাচ্ছে!
অনুষ্ঠানে ইকুমেনিকাল জুরি পুরস্কার পেয়েছে প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত নাদিন লাবাকির ‘কেপারনম’। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ভালোবাসার মতো মৌলিক মানবাধিকার ছাড়াই জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতে সংগ্রামরত সব শিশুর পক্ষে কথা বলেছে ছবিটি।
এদিকে কানের প্যারালাল সেকশন ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটে সেরা হয়েছে গসপার নো পরিচালিত ‘ক্লাইম্যাক্স’। কান সাউন্ডট্র্যাক অ্যাওয়ার্ড জিতেছে রাশিয়ার গৃহবন্দি নির্মাতা কিরিল সেরেব্রেনিকভের ‘লেতো’ আর স্পেশাল মেনশন দেওয়া হয়েছে স্পাইক লি পরিচালিত ‘ব্ল্যাকক্ল্যান্সম্যান’ ছবিকে।