ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং দেশটিকে মোকাবেলায় মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ইসরায়েলি স্নাইপারের গুলিতে ৬২ ফিলিস্তিনির প্রাণহানির পর ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) এক বৈঠকে শুক্রবার তিনি এ আহ্বান জানান।
ওআইসির জরুরি ওই বৈঠকে এরদোয়ান বলেন, হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই জবাবদিহীতার মুখোমুখি হতে হবে। যা বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তুলেছে এবং এশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা পর্যন্ত ব্যাপক প্রতিবাদ দেখিয়েছে।
তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুলে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে এরদোয়ান বলেন, ‘ইসরায়েলি দস্যুদের বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্বকে দেখাতে হবে যে, এখনো মানবতা মরে যায়নি।’
ইসরায়েলের হত্যাকাণ্ডকে ‘দস্যুপনা, নৃশংস গণহত্যা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি অবশ্যই ঠেকাতে হবে।
এদিকে, ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ড ও জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার বিরুদ্ধে শুক্রবার তুরস্কে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। এসময় জেরুজালেম থেকে মার্কিন দূতাবাস প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। বিক্ষোভে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মুসলিম বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
গত সোমবার (১৪ মে) তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের ঘটনায় গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। এসময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি ও টিয়ারসেলে অন্তত ৬২ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটে। এ সংঘাতে আড়াই হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়।