চেন্নাই সুপার কিংসের সামনে সুযোগ ছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে হারিয়ে প্লে’অফের প্রথম ২টি স্থানের ১টি নিশ্চিত করা। অথচ প্লে’অফ খেলার দৌড়ে সবার আগে বাদ পড়ে যাওয়া দিল্লির বিপক্ষে কিনা পাত্তাই পেল না মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। চেন্নাইকে ২৮ রানে হারিয়ে নিজেদের শেষটা ভালো করার লক্ষ্যে এগিয়ে গেল দিল্লি।
দিল্লির ঘরের মাঠে ১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৩৪ রানেই থেমে যায় চেন্নাইয়ের ইনিংস। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলতে থাকা আম্বাতি রাইডু ব্যতীত আর কেউই ব্যাট হাতে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। রাইডুর ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৫০ রানের ইনিংস। ইনিংসের ১০ম ওভারে ৭০ রানের মাথায় ফেরেন তিনি।
রাইডু ফিরে যাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে যায় চেন্নাই। শেষের ১০ ওভারে তারা করতে পারে মাত্র ৬৪ রান, হারায় ৪টি উইকেট। শেষদিকে ১৮ বলে ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে পরাজয়ের ব্যবধান কমান বাঁহাতি অলরাউন্ডার রবিন্দ্র জাদেজা। দিল্লির পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন অমিত মিশ্র এবং ট্রেন্ট বোল্ট।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে টি-টোয়েন্টির ঝাঁঝটা দেখাতে পারেনি দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। দুই ওপেনার পৃথ্বি শ আর শ্রেয়াস আয়ার তো ধীরে শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। পৃথ্বি ১৭ বলে ১৭ আর আয়ার ২২ বলে করেন ১৯ রান। একাদশে সুযোগ পাওয়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও ৫ রানে ফিরেন সাজঘরে।
তবে রিশাভ পান্ত তার দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রেখেছেন। ২৬ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৩৮ রান করেন তিনি। ২৮ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় বিজয় শঙ্কর হার না মানা ৩৬ রান করায় শেষবেলায় এসে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে দিল্লি। তবে আসল কাজটা করেছেন হার্শাল প্যাটেল। মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রানের দানবীয় এক ইনিংস খেলেন এই ব্যাটসম্যান, যে ইনিংসে ১টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। চেন্নাইয়ের পক্ষে ১৪ রানে ২টি উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি দিল্লি। ১৩ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচেই রয়েছে তারা। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে চেন্নাই।