রোজায় বাংলাদেশে মুসলমানদের ইফতারিতে অপরিহার্য একটি খাবার হলো খেজুর। এ সময়েই দেশে সবচেয়ে বেশি খেজুর আমদানি ও বিক্রি হয়।
আর এই প্রেক্ষাপটেই ঢাকায় আজ শুরু হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক খেজুর ও পুষ্টিপণ্য মেলা। কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরণের খেজুর উৎপাদিত হয়না বললেই চলে। মূলত বিদেশ থেকেই সেটি আমদানি হয়। তাহলে বাংলাদেশের মানুষের কাছে খেজুরের মতো একটি ফল এত জনপ্রিয় হলো কিভাবে?
আর ইসলামের সংস্কৃতির সঙ্গেই বা সেটি কতটা জড়িত?
এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম খাদেমুল হক বলেন এটা তো রমজানের সাথে সম্পৃক্ত।
“হযরত মোহাম্মদ (সা) রোজা খোলার সময় অর্থাৎ ইফতারে খেজুর খেতেন। সে কারণে মনে করা হয় এটা ভালো অনুষঙ্গ। সেজন্যই বাংলাদেশের মানুষ মনে করে ইফতারিতে সুন্নত হিসেবে খেজুর খাওয়া”।
তিনি বলেন অন্য সময় তো কেউ এতো চিন্তা করেনা আর এটি বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসের সাথেও জড়িত নয়, সেজন্য অন্য সময় ততটা জনপ্রিয় নয় এটা। কিন্তু বাংলাদেশের খাবারের সাথে তো সৌদি আরবের খাবার মেলেনা , সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র খেজুর কিভাবে মিলে গেলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমার কাছেও রহস্যময় লাগে। বাংলাদেশে রোজার সময় ছোলা পেঁয়াজু যেভাবে খাওয়া হয় সেভাবে আরবের সংস্কৃতির সঙ্গে যায়না। আবার সারাবছর এ খাবারগুলোও আমরা খাইনা।
“কি করে যে রোজা বা ইফতারের অনুষঙ্গ এগুলো হলো সেটা নিয়ে গবেষণা হতে পারে”।
কিন্তু মুসলিম সবদেশেই কি খেজুর সমান জনপ্রিয় এমন প্রশ্নের জবাবে মিস্টার হক বলেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইফতারের সময় খেজুরের সাথে পানি খেয়ে ডিনার বা রাতের খাবার খেয়ে নেয়। তার ধারণা বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে খেজুরের প্রচলন বেশি বেড়েছে, পাশাপাশি আরবিকরনের চেষ্টাও হয়েছে।