মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে এক আসামির সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের বিষয়ে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, সব কাজই কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় করেছেন। এ বিষয়ে আমি ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিস্তারিত বলেছি।
নিম্নে ফেসবুকে দেয়া তুরিন আফরোজের স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো
১। আমি এখনও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদে বহাল আছি। আমাকে কেউ বরখাস্ত করেনি।
২। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে ৮(২) ধারা অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের একজন প্রসিকিউটরের তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার এখতিয়ার রয়েছে। সুতরাং যেকোনো মামলাতে তদন্ত করার এখতিয়ার আমার আছে। আর তদন্ত করতে গেলে নানা রকম কৌশল অবলম্বন করতে হয়। সুতরাং আমি তদন্তের স্বার্থে যেকোনো প্রয়োজনীয় কৌশল গ্রহণ করতে পারি।
৩। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমি এই পর্যন্ত প্রসিকিউটর হিসেবে যা কিছুই করেছি তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত ছিলেন।
৪। আমাকে নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সত্য নয়। যেহেতু বিষয়টি এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখছেন তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তদন্ত শেষ হলে আমি আমার বক্তব্য সর্বসম্মুখে প্রকাশ করব। আশা করি সেই পর্যন্ত আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ও সমালোচকরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করবেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক ওয়াহিদুল হককে গ্রেফতার করা হয় ২৪ এপ্রিল। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল।
জানা গেছে, ১১ নভেম্বর ওয়াহিদুল হকের মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে। দায়িত্ব পাওয়ার সপ্তাহখানেক পর, তিনি প্রথমে টেলিফোনে ও পরে সরাসরি ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে মামলার বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার তুরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।