‘চাপ প্রয়োগ এবং সামরিক হুমকি’র বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। চিরবৈরী এ দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্মেলনের আগে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে দিয়েছে পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি বাতিল করা না পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে না উল্লেখ করে উত্তর কোরিয়াকে ইচ্ছাকৃত উসকানি দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।’
অাগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। দুই দেশের নেতাদের মধ্যে এটাই হবে প্রথম কোনো বৈঠক। এর আগে গত মাসে কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত করার ব্যাপারে ঐক্যমত্যে পৌঁছায় উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কয়েক মাস ধরে চলে আসা বাক-বিতণ্ডা, হামলার হুমকি-পাল্টা হুমকির মাঝে গত ২৭ এপ্রিল কোরীয় সীমান্তের যুদ্ধবিরতি গ্রাম ‘পানমুনজমে’ আলোচনায় বসে দুই কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের অবসানের পর উত্তরের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে কিম জং উন দক্ষিণে পা রাখেন ওই দিন। উত্তর কোরিয়া প্রতিনিয়তই যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করে।
তবে ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং উনের ঐতিহাসিক বৈঠকে বসার খবর প্রকাশের পর থেকে উত্তর কোরিয়াকে এ ধরনের সমালোচনা করতে দেখা যায়নি।
সূত্র : বিবিসি।