রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে ফের তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকালে এই ঘটনার পর মসজিদের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই পক্ষকে বের করে দিয়ে মসজিদ ফাঁকা করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকালে কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের বৈঠক বসে। এসময় মাওলানা সাদের বিতর্কিত বক্তব্যকে ঘিরে সাদ পন্থী ও তার বিরোধী গ্রুপের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সাদ বিরোধীরা বলেন, মাওলানা সাদ যদি তার বিতর্কিত বক্তব্য থেকে সরে না আসে তাহলে তাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
গত বিশ্ব ইজতেমার আগে থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে মতবিরোধ চলে আসছিল তাবলিগ-জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে। বিশ্ব ইজতেমার সময় তাবলিগ-জামাতের দিল্লির মারকাজের মুরব্বি মাওলানা সা’দকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে সংকট আরও ঘনিভূত হয়। সা’দের বক্তব্য নিয়ে দুই পক্ষ অন্তত চারবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার বৈঠকও করেছেন। এরপরও দুই পক্ষকে সমঝোতায় আনা সম্ভব হয়নি। এর আগেও তাবলিগ-জামাতের বিরোধ নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে মামলা-পাল্টা মামলা হয়েছে।
জাকারিয়া নামের এক তাবলিগ কর্মী বলেন, মাওলানা সাদ ভুল করেছে একথা বলায় আমাকে মারধর করেছে।
এ বিষয়ে পুলিশের রমনা জোনের এডিসি এইচ এম বলেন, আমরা মারামারি খবর শুনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কাকরাইল মসজিদে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের দুই গ্রুপকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা দুই গ্রুপের সঙ্গে বসবো।