তাহলে অধিনায়কই ছিলেন এতদিন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের মূল সমস্যা? গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস যেন পথই খুঁজে পাচ্ছিল না। ৬ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে হেরে অবস্থান করছিল টেবিলের একেবারে তলানীতে। এ পর্যায়ে এসে, দলের অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ছেড়ে দেন গৌতম গম্ভীর এবং নতুন অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা দেন স্রেয়াশ আয়ারের নাম। যদিও তিনি, লিগের বাকি সময়টা দিল্লির হয়ে ফ্রি খেলার ঘোষণা দেন।
এই পরিবর্তনের পর কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়ে গম্ভীরকে দলেই রাখেনি দিল্লি। শুধু তাই নয়, নতুন অধিনায়ক স্রেয়াশ আয়ার প্রথম পরীক্ষায় শুধু পাসই করেননি, শতভাগের চেয়েও বেশি নম্বর পেয়ে পাশ করলেন। নিজে সামনে থেকে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিলেন। খেললেন ৪০ বলে ৯৩ রানের দারুণ এক টর্নেডো ইনিংস। তার এই ইনিংসের ওপর ভর করে এবারের আইপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় ২১৯ রানের স্কোর দাঁড় করায় দিল্লি।
দিল্লিার ফিরোজ শাহ কোটলায় জবাব দিতে নামার পর কেকেআরের ব্যাটসম্যানদের দাঁড়াতেই দিলেন না স্রেয়াশ আয়ার। দারুণ ক্যাপ্টেন্সি করলেন। শেষ পর্যন্ত কলকাতার ব্যাটসম্যানদের ৯ উইকেট হারিয়ে থেমে যেতে হলো ১৬৪ রানে। কলকাতার হয়ে আন্দ্রে রাসেল সর্বোচ্চ ৩০ বলে খেলেন ৪৪ রানের ইনিংস। ২৯ বলে ৩৭ রান করেন শুভমান গিল। ৯ বলে ২৬ রানের ঝড় তুলে বিদায় নিয়েছিলেন সুনিল নারিন।
দিল্লির হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, আবেশ খান এবং অমিত মিশ্র নেন ২টি করে উইকেট। এই জয়ে ৭ ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে উঠলো দিল্লি। আট নম্বরে ঠেলে দিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির ওপেনার পৃত্থি শ এবং কলিন মুনরো দারুণ সূচনা করেন। দু’জন ৫৯ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন। ১৮ বলে ৩৩ রান করেন কলিন মুনরো। ৪৪ বলে ৬২ রান করেন পৃত্থি শ। রিশাভ পান্ত শূন্য রান করে আউট হলেও ম্যাক্সওয়েল ১৮ বলে করেন ২৭ রান। ৪০ বলে ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে যান স্রেয়াশ আয়ার। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১০টি ছক্কার মার মারেন তিনি।