টানা দ্বিতীয় মেয়াদে এবং বাংলাদেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন মো. আবদুল হামিদ। এর মধ্য দিয়ে আরো পাঁচ বছর রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে থাকছেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক, সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক, রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিব এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ১৯ মেয়াদে এ পর্যন্ত ১৬ জন রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। আবদুল হামিদ এ পদে ১৭তম ব্যক্তি। তবে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হয়ে ইতিহাস গড়লেন তিনি। কেননা এখন পর্যন্ত একমাত্র তিনিই এ সুযোগ পেলেন। সংবিধানে সর্বোচ্চ দুই বার রাষ্ট্রপতি পদে থাকার সুযোগ থাকায় এটাই তার শেষ মেয়াদ।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি পদে বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান আবদুল হামিদকে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আবদুল হামিদকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
প্রথম মেয়াদে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন আবদুল হামিদ। সেই মেয়াদ ফুরিয়ে আসায় গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি। ৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন দাখিলের দিন একমাত্র আবদুল হামিদের মনোনয়নপত্রই জমা পড়ে।
এর আগে রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে তিনি ২০১৩ সলের ১৪ মার্চ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ সময় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি ২০১৩ সালের ২০ মার্চ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন।