Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

shariar postপররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ফেসবুক পেজ হ্যাকড হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী গতকাল সোমবার তাঁর এই পেজে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্টের ফটোকপি এবং যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরে তাঁর জমা দেওয়া আবেদনের একটি কপি পোস্ট করেন। এসব কপি হ্যাক করা হয়েছে এবং তা উধাও হয়ে গেছে বলে প্রতিমন্ত্রী তাঁর পেজে জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার একটি পোস্টে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম লিখেছেন, ‘আমার ফেসবুকের ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে সারা রাত। হ্যাকিং। পোস্ট উধাও। বুঝতেই পারছেন এই বিনিয়োগ কারা করেছে।’

chardike-ad

আজ সকালে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আজ তাঁর পেজটি হ্যাকড হয়েছে। এরপর কিছু পোস্ট উধাও হয়ে গেছে।’

সম্প্রতি লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার আলম বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন। তিনি পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন।

এ বক্তব্যের পর গতকাল লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারকে আইনি নোটিশ পাঠান। ওই নোটিশে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য মিথ্যা, বানোয়াট বলে উল্লেখ করেন। নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে শাহরিয়ার আলম জাতির কাছে বা তাঁর কাছে ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নোটিশের ঘটনা প্রকাশের পর গতকাল বিকেলে গুলশানের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী-কন্যা তাঁদের পাসপোর্ট যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমর্পণ করেছেন। সেখান থেকে ওই পাসপোর্ট লন্ডনে বাংলাদেশের দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে। পাসপোর্টগুলো এখন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সেখানে রক্ষিত আছে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, নোটিশ দেওয়ার কথা শুনে খুশি হয়েছেন। বিএনপির যে আইন-আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা আছে, সেটা জেনে ভালো লেগেছে। তিনি বলেন, নোটিশ পেলে জবাবের বিষয়টি দেখা হবে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ২০০৮ সালে তারেক রহমান পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন। তখন মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এরপর তিনি আর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেননি। ২০১৪ সালের ২ জুন তিনি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সপরিবারে পাসপোর্ট জমা দেন। সেখান থেকে তা বাংলাদেশের হাইকমিশনে আসে। তিনি বলেন, বিএনপির কেউ দেখতে চাইলে বা আইনগতভাবে কেউ চাইলে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ সংবাদ সম্মেলনের পরপরই তারেক রহমানের পাসপোর্ট এবং আবেদনের কপি ফেসবুকে পোস্ট করেন শাহরিয়ার আলম। গতকাল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সেগুলো নিয়ে তাদের প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকাশও করে। তবে এখন তাঁর পেজে এসব আর দেখা যাচ্ছে না।