ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে অমানবিক হয়রানির শিকার হয়েছেন এক বাংলাদেশি তরুণী অর্পিতা পাল। অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও তাকে প্রায় ৬ ঘণ্টা কড়া রোদে দাঁড় করিয়ে রাখেন ভারতীয় ইমিগ্রেশন বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা।
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়ে অর্পিতার শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ অর্পিতার পরিবারের বরাতে এ খবর জানিয়েছে।
পরিবার জানায়, আট মাস আগে ভারতের বালিগঞ্জের বাসিন্দা আনন্দ দাশগুপ্তের সঙ্গে বিয়ে হয় বাংলাদেশের অর্পিতা পালের। কয়েক মাস ভারতে কাটানোর পর স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে শ্বশুরবাড়িতে যান আনন্দ। সেখান থেকে ফেরার সময় পাসপোর্ট দেখার নাম করে অন্তঃসত্ত্বা অর্পিতাকে প্রায় ৬ ঘণ্টা রোদে দাঁড় করিয়ে রাখেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়ে একপর্যায়ে অর্পিতার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পেট্রাপোল থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।