Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

kalema islamমানুষ বিভিন্ন কারণে অধৈর্য হয়ে যায়। অধৈর্য হয়ে মানুষ নিজেদের মৃত্যু কামনা করে থাকে। আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে ধৈর্য ধারণ সম্পর্কে অনেক আয়াত নাজিল করেছেন। অনেক সময় মানুষ নানা কারণে ধৈর্য হারিয়ে আল্লাহর কাছে মৃত্যু কামনা করে থাকে; যা কোনো ভাবে কাম্য নয়।

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক হাদিসে মৃত্যু কামনা করাকে অবৈধ বলেছেন। মৃত্যু কামনা করতে নিষেধ করেছেন। আর মৃত্যু কামনা নিষেধ করার মূল করণও প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেছেন। আর তাহলো-

chardike-ad

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কারণ সে যদি সৎকর্মশীল লোক হয়, তবে (বেঁচে থাকলে) হয়ত সে নেকির কাজ বৃদ্ধি করবে। আর যদি অন্যায়কারী (পাপী) হয়, তাহলে হয়ত সে তাওবা করবে (দ্বীনের পথে ফিরে আসবে)।’ (বুখারি)

হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, মানুষ সৎকর্মশীল হোক আর পাপী হোক; কারো জন্যই মৃত্যু কামনা করা কল্যাণকর নয়। কারণ উভয়ের জন্য বেঁচে থাকায় কল্যাণের পথ খোলা থাকে।

তাছাড়া আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল মানুষের প্রতি কতটা মায়াশীল তাও এ হাদিস থেকে অনুমেয়। আবার কোনো বান্দা অন্যায় করুক এবং পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে কষ্টভোগ করুক; কুরআন-হাদিসের কোথাও এমনটিও কামনা করা হয়নি।

তাই আসুন, মৃত্যু কামনা নয়, শান্তি চাই। ইসলামের সুন্দর বিধি-বিধানে নিজেদের জীবন সাজাই। দুনিয়া ও পরকালের শান্তি লাভে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করি।

আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন কারণে ধৈর্যহারা, পথহারা, বিপদ-আপদ ও অসুখ-বিসুখে পতিত লোকদেরকে মৃত্যু কামনা করার মতো অবৈধ পন্থা অবলম্বন থেকে হেফাজত করুন।