মালয়েশিয়ায় ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন লিফট ছিঁড়ে নিহত তিন বাংলাদেশি। গত ১৩ এপ্রিল দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলামের কাছে সুটেরা উতামা স্কোডাই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ নিহত তিন বাংলাদেশির পরিবারকে ২৫ হাজার করে মোট ৭৫ হাজার রিঙ্গিতের ক্ষতিপূরণের চেক হস্থান্তর করে।
চলতি মাসের ৮ এপ্রিল মালয়েশিয়ার জোহরবারুর ফরেস্ট সিটিতে নির্মাণাধীন ৫০তলা ভবনের ৩২তলা থেকে লিফট ছিঁড়ে নিচে পড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান এ তিন বাংলাদেশি।
নিহতরা হলেন- যশোরের বেনাপোলের ধান্যখোলা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে তরিকুল ইসলাম তরিক (৩২), শার্শার শ্যামলাগাছি গ্রামের আবু তালেবের ছেলে আজমিন হোসেন (২৬) ও ঝিকরগাছা উপজেলার ছোট-পোদেউলিয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (৪২)।
এ বিষয়ে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম জানান, দূতাবাস হচ্ছে শ্রমিকবান্ধব। যার কারণে দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে দূতাবাসের শ্রমশাখার কর্মকর্তারা কোম্পানির মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখে নিহতদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে সচেষ্ট থাকায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পাওয়া গেছে। প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন করে দু-একদিনের মধ্যে ঢাকাস্থ ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড অফিসে ক্ষতিপূরণের চেক পাঠানো হবে। সেখান থেকে নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষতিপূরণে টাকা হস্তান্তর করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে শ্রম কাউন্সেলর বলেন, আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন তার জন্য সকল ক্ষেত্রে সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে।