সৌদি আরবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সাত বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার দুই সহোদরসহ চারজন, নোয়াখালীর দুজন ও ফেনীর একজন।
বুধবার বিকেলে সৌদিতে অবস্থানরত স্বজনদের মাধ্যমে ওই সাতজনের মৃত্যুর খবর পায় তাদের পরিবারের সদস্যরা। নিহতদের মধ্যে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা এমরানুল হক সোহেল (৩৪), তার ভাই ইমামুল হক মুন্না (২২) এবং গুণবতী ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মো. সোহেল (৩০)। আরেকজনের নাম পাওয়া যায়নি। নোয়াখালীর নিহত দুজনের নাম পাওয়া যায়নি। ফেনীর নিহত একজন হলেন সদর উপজেলার বিরিঞ্জি গ্রামের রাশেদ খান।
নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরবের হাইল জেলার হোলাইফা শহর এলাকায় চাকরি করতেন এমরানুল হক, মুন্না ও সোহেল। প্রতিদিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার রাতের খাবার রান্না ও খাওয়া শেষে একই কক্ষে সাত বাংলাদেশি ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে তাদের সবার মৃত্যু হয়। দুপুরে মৃত্যুর খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রামের নিহতদের মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সরেজমিন সোহেল ও মুন্নার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাদের মা সেলিনা বেগম বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। তিনি বলন, ‘আমি এখন কারে নিয়ে বাঁচব। দুই ছেলের স্বপ্ন ছিল-নতুন ঘরের কাজ শেষ হলে আমার দুই ধন বাড়ি আসবে।’