নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ একই পরিবারের নয়জনকে অচেতন করে সর্বস্ব লুটে নেয়ার ঘটনায় ভাড়াটিয়া দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকারসহ ল্যাপটপ ও ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার মান্ডা এলাকার জালাল মিয়ার ৬ষ্ঠ তলা ভবনের ৪র্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার সিন্নিরচর এলাকার মৃত জনু মিয়ার ছেলে কবির হোসেন (৪০) এবং তার স্ত্রী রাশিদা বেগম (২৭)। ভাড়াটিয়া সেজে বাড়ির মালিককে অচেতন করে সর্বস্ব লুটে নেয়াই এই দম্পতির পেশা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল রাতে ফতুল্লার দেলপাড়া কলেজ রোড এলাকার বাড়ির মালিক সেনা কর্মকর্তা আলি আহম্মেদকে সপরিবারে দাওয়াত দিয়ে খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে একই পরিবারের নয়জনকে অচেতন করে সর্বস্ব লুটে নিয়ে পালিয়ে যায় ভাড়াটিয়া এই দম্পতি। পরে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা তাদের অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সুস্থ হয়ে বাড়ির মালিক আলি আহম্মেদ বাদী হয়ে এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম জানান, ঘটনার ১৫দিন পর তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকার দক্ষিণ মান্ডা এলাকার জালালের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুই জোড়া স্বর্ণের দুল, একটি চেইন, একটি ল্যাপটপ, একটি ক্যামেরা, ৬ পাতা অচেতনকরণের ওষুধসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।