সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার রাতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ঘাঁটিতে আক্রমণের নির্দেশ দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের নির্দেশ পেতেই ঝাঁকে ঝাঁকে মার্কিন যুদ্ধবিমান উড়ে যায় আসাদের মূল সেনাঘাঁটির দিকে। সঙ্গে ছিল ফ্রান্স ও ব্রিটেনের যুদ্ধবিমানও।
হামলার উদ্দেশ্য ছিল আসাদের রাসায়নিক অস্ত্রাগারগুলি ধ্বংস করা। পাল্টা আমেরিকাকে জবাব দিয়েছে রুশ সাহায্যপ্রাপ্ত সিরিয়ার এলিট মিলিটারি ফোর্স রিপাবলিকান গার্ডের ফোর্থ ডিভিশন। তবে ব্রিটেনের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান রবিবার জানিয়েছে, সিরিয়া ও রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছাকাছিও যেতে পারেনি তিন দেশের যুদ্ধবিমানগুলি।
হামলাকে ‘সফল’ দাবি করে টুইট করেছিলেন ট্রাম্প। হামলায় সহযোগিতা করায় টুইটে তিনি ফ্রান্স ও ব্রিটেনকে ধন্যবাদ জানান। তার টুইটকে ঘিরে হাসি-তামাশা শুরু হয়েছে এরইমধ্যে। আর তিন দেশের সমন্বিত এ হামলা কোন ক্ষেত্রে ‘সফল’ হয়েছে তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। কারণ রাশিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সিরিয়া ৭১টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগেই অকার্যকর করে দিয়েছে।
তবে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিল বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। এ হামলার পর সিরিয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করবে। যার ফলশ্রুতিতে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হবে যারা এতদিন ধরে তা হয়ে আসছে, সিরিয়ার সাধারণ জনগণ। আর যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলার পর রাশিয়াও চুপ করে বসে থাকবে না।