জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণার পরপরই সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও অনেকেই মনে করছেন,আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের শত শত টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা প্রধানমন্ত্রীকে সঠিকভাবে জানানো হয়নি। তারা বলেন, আন্দোলনরত প্রায় শখানেক শিক্ষার্থী পুলিশের টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়ে এখনো ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি যে অভিমান ফুটে উঠেছে তার কারণ ভিসির বাসভবনে কতিপয় দুর্বৃত্তদের বেপরোয়া হামলা ও ভাঙচোর। ন্যাক্কারজনক এ হামলার সাথে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ছাত্রদের উপর পুলিশি হামলার ব্যাপারে কোন প্রকার মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী। ছাত্রদের উপর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদ ও চারুকলায় প্রবেশ করে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টর কেউই সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের এ হামলার প্রতিবাদ কিংবা আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপই নেননি। অথচ যখন সুফিয়া কামাল হলের সরকারী ছাত্রসংগঠনের নেত্রী আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীকে তিরষ্কার ও মারধর করেন, তখন প্রক্টর গোলাম রাব্বানী ঠিকই ওই ছাত্রীকে মধ্যরাতে হল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পরে মাঝরাতেই তাকে সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
অন্যদিকে সরকারি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত করার আহ্বান জানান।
আন্দোলনরত আরো কিছু শিক্ষার্থী বলেন,তারা কোটা প্রথা সম্পূর্ণ বাতিল নয় তারা চেয়েছিলেন কোটা প্রথার সংস্কার। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আল মামুন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিশ্লেষণ করে আগামীকাল সকাল দশটায় পরবর্তী ঘোষণা দিবেন বলে জানিয়েছেন।