কুমিল্লায় ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এক চিকিৎসকের সহকারী আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম বাপ্পী দাস (৩০)। তিনি কুমিল্লার ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক কলিম উল্লাহর অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
শনিবার সকালে অফিস কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আত্মহত্যার পূর্বে তিনি তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা নগরীর ঠাকুরপাড়া বাগানবাড়ী এলাকার উত্তম চন্দ্র দাসের ছেলে বাপ্পী দাস দীর্ঘদিন ধরে বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের কাবিলা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজে এম.এল.এস পদে কাজ করছেন। কর্মস্থলে শুক্রবার রাতে ডিউটি শেষে বাপ্পী দাস ভোর ৬টায় হাসপাতালের দ্বিতীয়তলায় ডা. কলিম উল্লাহর কক্ষে যান।
হসপিটালের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি তিনি ডা. কলিম উল্লাহর অফিস সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। সকাল ৯টায় হাসপাতালের লোকজন ডাক্তারের কক্ষের দরজা খুলতে গিয়ে ভেতর থেকে বন্ধ পায়। অনেক চেষ্টা করেও দরজা খুলতে না পেরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে বাপ্পী দাসের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়।
এদিকে, বাপ্পী দাসের ব্যবহৃত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ভোর ৪টার কিছু পরে তার এই মৃত্যু নিয়ে চারটি ছবিসহ একটি স্ট্যাটাস দেয়া হয়। স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘আমার মৃত্যুর জন্য এই চারজন দায়ী। ইব্রাহিম আমাকে ইরাক থেকে ফোন করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং আমার ফ্যামিলিকেও মেরে ফেলবে বলছে? তার ফোন করে থ্রেট দেয়া সব রেকর্ড আমার কাছে আছে। প্রথম হলো ইব্রাহিম বাবা নুরুল ইসলাম গ্রাম ভূবনগড়।
দ্বিতীয় হলেন- খুকি গ্রাম চর্থা বড় পুকুড়পাড়। তৃতীয় হলেন ইমরান হোসেন গ্রাম চান্দিনা। সে চান্দিনা রেজিস্ট্রার অফিসে কম্পিাউটারে কাজ করে। চতুর্থ হলেন ফাহিম সরকার গ্রাম মুরাদনগর। সে ইমরানের সঙ্গে থাকে সবসময়। তাদের ছবি দেয়া হলো। আমি তাদের সুষ্ঠু বিচার চাই প্রশাসনের কাছে।’
বুড়িচং থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে কক্ষের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের কক্ষ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। মোবাইল ফোনে পাওয়া তথ্যগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বুড়িচং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।