Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দীর্ঘ ৮ বছর পর আবারও স্পেনের মুখোমুখি আর্জেন্টিনা। কিন্তু ম্যাচের শুরুতে আলোচনায় মেসির খেলা নিয়ে। ইতালির বিপক্ষে ম্যাচের পর এদিনও আর্জেন্টিনার হয়ে খেলার সুযোগ হয়নি মেসির। উরুর চোটের কারণে স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে ছিঁটকে যান তিনি। তবে ইতালির বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে আনতে পারলেও শক্তিশালী স্পেনের বিপক্ষে সেটি আর পারেনি সাম্পাওলির দল। স্পেনের কাছে ১-৬ গোলের লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করলো আলবিসেলেস্তারা।

ক্লাব লেভেলে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ঘরের মাঠ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে এদিন খেলতে নামে স্পেন এবং আর্জেন্টিনা। শেষবারের মোকাবেলায় স্পেনকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল মেসির দল। কিন্তু এবার ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনাকে পেয়ে সেটারই শোধ নিল লোপেতেগির দল। লানজিনি, মেসি, ডি মারিয়া, আগুয়েরো কেউই এদিন ছিলেন না আর্জেন্টিনা দলে।

chardike-ad

ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে নিয়ে খেলতে থাকে স্পেন। কিন্তু ম্যাচের প্রথম এবং সবথেকে সহজটা ৮ মিনিটেই পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। বা পাশ থেকে মেজার ক্রসে গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হিগুয়াইন। অথচ ক্লাব লেভেলে তিনি এমন গোল হরহামেশাই করে থাকেন। এর ঠিক ৪ মিনিট পরেই গোলের খাতা খোলে স্পেন।

আসেনসিওর বুদ্ধিদীপ্ত ক্রসে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ডিয়েগো কস্তা। ২৭ মিনিটে আবারও স্পেনের গোল। এবার আসেনসিও গোল করান ইস্কোকে দিয়ে। ২ গোল খেয়ে যেন হুঁশ ফেরে আর্জেন্টিনার। ৩৯ মিনিটে এভার বানেগার কর্নার থেকে হেডে গোল করে এক গোল শোধ দেন আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার ওটামেন্ডি। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্পেন।

বিরতি থেকেও ফিরে চলে স্পেনের আধিপত্য। ৪৭ মিনিটা কস্তার বদলে ইয়াগো আসপাস মাঠে নামলে আরও ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে স্প্যানিশরা। ৫২ মিনিটে সেই আসপাসের ক্রস থেকেই আর্জেন্টিনার হতশ্রী ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান ইস্কো। ম্যাচে এটি তার দ্বিতীয় গোল। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতে আবারও গোল করে বসে স্পেন। এবার গোলের খাতায় নাম লেখান বায়ার্ন মিউনিখের তারকা থিয়াগো।

৪ গোলে খেয় অনেকটাই ম্যাচ থেকে ছিঁটকে যায় সাম্পাওলির দল। ৬৬ মিনিটে লো সেলসোর ফ্রি কিক গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৭৩ মিনিটে ডে গিয়ার দূরপাল্লার শট রুখে দিতে ব্যর্থ হন আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডাররা। সেই সুযোগে দলের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন ইয়াগো আসপাস। এর ঠিক এক মিনিট পরেই নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ইস্কো। এবারও তার গোলে সহায়তা করেন ইয়াগো আসপাস। ম্যাচের বাকিটা সময় আর কোন গোল না হলে ১-৬ গোলের লজ্জার হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।