৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সোসাইটি।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, ঐ ভিডিওতে একটি বন্য হাতিকে এমন কাজ করতে দেখা গেছে যা কোন হাতিকে কখনোই করতে দেখা যায়নি। আর হাতিটির এই আচরণ বিস্মিত করেছে বন্যপ্রাণী গবেষকদের। ভিনয় কুমার ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সোসাইটির একজন বিজ্ঞানী। কর্ণাটক রাজ্যের নগরহোল জঙ্গলে কাজে গিয়ে অনেকটা হঠাৎ করেই হাতিটিকে ভিডিও করেন তিনি।
জঙ্গলে ক্যামেরা বসানো ছিল বাঘের গতিবিধি আর আচরণের ফুটেজ তোলার জন্য। সকাল বেলা কাছেই হাতিটিকে দেখে তার ভিডিও শুরু করলেন মি কুমার। যাতে দেখা যাচ্ছে জঙ্গলে কেউ আগুন ধরিয়েছিল। সেটি নিভে যাওয়ার পর সেখানে তখনো কয়লাগুলো জ্বলছিল।
ভিনয় কুমার বলছেন, “হাতিটি সেই গরম কয়লা তুলে গিলে ফেলছিল বলে মনে হচ্ছিলো। আর সুর দিয়ে প্রচুর ছাই ও ধোঁয়া ছাড়ছিলো। দেখে মনে হচ্ছিলো যেন সে ধূমপান করছে”। ২০১৬ সালের এপ্রিলে তোলা ঐ ভিডিওটি মাত্রই প্রকাশ করা হয়েছে। মি কুমার বলছেন এই ঘটনার যে কতখানি গুরুত্ব রয়েছে সেটি তিনি বুঝতে পারেন নি।
গবেষকরা অনেক কিছুই আবিষ্কার করেন। কিন্তু হাতির এমন আচরণ মানুষের চোখে এর আগে কখনো ধরা পরে নি বলে জানিয়েছে ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সোসাইটি। বিজ্ঞানীরা বলছেন হাতিটি কেন এমন করছিলো সে বিষয়ে তারা এখনো নিশ্চিত নন।
জীববিজ্ঞানী ভারুন গোস্বামী হাতি নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি বলেছেন, “শরীরে উৎপন্ন টক্সিন নিয়ন্ত্রণে কয়লার উপকারিতা রয়েছে। হতে পারে হাতিটি সেই কারণে তাতে আকৃষ্ট হয়েছে। তাছাড়া কয়লা মল নরম করতেও সহায়তা করে” কিন্তু তবুও মেয়ে হাতিটির এই আচরণের ব্যাখ্যা খুঁজে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। বিবিসি