Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শখের বসেই তায়কোয়ানডো (মার্শাল আর্ট) চর্চা শুরু করেছিল আল ইমরান। আন্তরিকতা ও কঠোর অনুশীলনে একের পর এক সাফল্য অর্জন করতে থাকেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তায়কোয়ানডের এই গোল্ড মেডেলিস্টকে।

ক্রিকেটে সৌম্য, মোস্তাফিজ কিংবা ফুটবলে গোলমেশিন খ্যাত সাবিনার পর তায়কোয়ানডে সাতক্ষীরার নামকে উজ্জ্বল করছে আল ইমরান।

chardike-ad

নিজের সাফল্য ধরে রেখে প্রথমে সাতক্ষীরা জেলা কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন আল ইমরান। সম্প্রতি পেয়েছেন খুলনা বিভাগীয় কোচের দায়িত্বও। জাতীয় তায়কোয়ানডো দলের খেলোয়াড় আল ইমরানের শিষ্যরাই এখন মাঠ কাঁপাচ্ছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ যুব গেমসে এনে দিয়েছে গোল্ড মেডেল।

সাতক্ষীরা শহরতলীর বিনেরপোতা গ্রামের ব্যবসায়ী ওবায়দুল মহব্বত ও গৃহিনী শিরিনা পারভীনের ছেলে আল ইমরান বর্তমানে রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দ্বিতীয় সেমিস্টারে পড়ছেন।

সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০১২ সালে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় একদিন সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে তায়কোয়ানডো দেখে ভালো লেগে যায় আল ইমরানের। মনে মনে তায়কোয়ানডো নিয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকেন তিনি। এরপর একদিন গিয়ে তায়কোয়ানডো দলের কোচের কাছে নিজের আগ্রহের বিষয়টি জানায় ইমরান। তিনি অনুমতিও দেন। সেই থেকেই তায়কোয়ানডে যাত্রা শুরু ইমরানের।

এরপর একের পর এক সাফল্য ধরা দেয় তার কাছে। ২০১৩ সালে কুক্কিয়ান কাপে গোল্ড (পুমছে) ও সিলভার (ব্রেকিং), ২০১৪ সালে কোরিয়া অ্যাম্বাসেডর কাপে সিলভার (ফাইট) ও ব্রোঞ্জ (পুমছে), ২০১৬ সালে ১৪তম জাতীয় তায়কোয়ানডো চ্যাম্পিয়নশিপে গোল্ড (পুমছে), ২০১৭ সালে ১৫তম জাতীয় তায়কোয়ানডো চ্যাম্পিয়নশিপে গোল্ড (ফাইট), একই সালে কোরিয়া কাপ তায়কোয়ানডে সিলভার পদক অর্জন করেন তিনি।

২০১৫ সাল থেকে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান তিনি। ২০১৬ সালে কাঁধে ওঠে সাতক্ষীরা জেলা দলের কোচের দায়িত্ব। আর চলতি বছরে বাংলাদেশ যুব গেমসে খুলনা বিভাগীয় কোচের ভূমিকায় দেখা যায় তাকে।

তার কোচিং নৈপুণ্যে সর্বশেষ বাংলাদেশ যুব গেমসে সাতক্ষীরার ফাহিম আহমেদ গোল্ড (ফাইট) ও গোল্ড (পুমছে) এবং সোহাগ কুমার গোল্ড (পুমছে) ও ব্রোঞ্জ (ফাইট) অর্জন করেছেন। বাংলানিউজ২৪ থেকে।