সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে আকৃষ্ট হয়েছিলেন টুটুল নন্দী (৩৩)। মোবাইল কিনতে অর্ডারও দেন তিনি। বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেই বুকিং নিশ্চিত করেন টুটুল। নির্ধারিত সময়ে টাকা দিয়ে প্যাকেট বুঝে নেন তিনি। কিন্তু বাসায় গিয়ে প্যাকেট খুললে মোবাইলের বদলে মেলে পাথর।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এ ঘটনা ঘটে। পটিয়ার কাশিয়াইশ গ্রামের পিংকু নন্দীর ছেলে টুটুল। তিনি আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়ার ছত্তারহাট এলাকায় একটি পোলট্রি খামারে চাকরি করেন।
টুটুল নন্দী বলেন, অনলাইনে মোবাইল ফোন বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে ‘স্যামসাং গ্যালাক্সি এস-৭’ মডেলের একটি ফোনের অর্ডার দেন। ফোনটির দাম ছিল ৭ হাজার ৮০০ টাকা। অর্ডার দেওয়ার পর বিকাশে অগ্রিম ২০০ টাকা পাঠান তিনি। গত শনিবার একটি পণ্য পরিবহন সংস্থা মোবাইলের প্যাকেটটি তাঁর হাতে তুলে দেয়। বাকি ৭ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে প্যাকেটটি বুঝে পান টুটুল। এ সময় প্যাকেট খুলে পরীক্ষা করেননি তিনি।
টুটুল জানান, বাসায় গিয়ে স্কচটেপে মোড়ানো প্যাকেট খুলে হতভম্ব হয়ে পড়েন তিনি। ভেতরে একটি নকিয়া মোবাইলের প্যাকেট ছিল। তাতে ছিল পাথরের টুকরো। পাথরের টুকরাগুলোতে এমনভাবে টেপ মোড়ানো হয়েছিল, যাতে আগে থেকে বোঝা যায়নি ভেতরে কী আছে। মোবাইল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি যে রশিদ পাঠিয়েছে, তাতে ঢাকার পান্থপথের ‘মোবাইল স্টোর’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ আছে।
এ ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হন টুটুল। স্থানীয় আনোয়ারা থানায় গেলে বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের পাঠানো রশিদ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে ফোন করেন আনোয়ারা থানার ওসি। কিন্তু ওপাশে কারও সাড়া পাওয়া যায়নি।
টুটুল নন্দী বলেন, ‘অনলাইনে এভাবে প্রতারণা করা হয় আগে জানতাম না। আমি সাধারণ মানুষ। বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হলাম।’
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, অনলাইনে সুকৌশলে প্রতারণা করা হয়েছে। কথিত বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ফোন ধরছে না। ভোক্তা-ক্রেতারা সচেতন হলে অনলাইনে এ ধরনের প্রতারণা কমে আসবে।-প্রথম আলো