নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ২৮ বাংলাদেশীসহ ৫১ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে প্রত্যেক পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইউএস-বাংলা।
জানা যায়, এয়ারলাইন্সটি ইংল্যান্ডের প্রখ্যাত কে এম দাস্তুর ও বাংলাদেশের সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স এ দুইটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির আওতায় ছিল।
এরই মধ্যে দুইটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি বিমান দুর্ঘটনায় তাদের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করেছে। তাদের মূল্যায়ন প্রতিবেদন পাওয়ার পরপরই নিহত যাত্রীদের স্বজন ও আহতরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ পাবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষও।
নিয়ম অনুযায়ী নিহত প্রত্যেক যাত্রীর স্বজনরা নূন্যতম ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা রয়েছে। তবে সেই অর্থ কবে নাগাদ পেতে পারেন তা এখনও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
সংশ্নিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বিমানের ক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স ছাড়া চলাচলের বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। এর আওতায় বিমান, যাত্রী ও পাইলটদের আলাদা ‘মূল্য’ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পাইলটদের ১-২ লাখ ডলার, যাত্রীদের ন্যূনতম ৫০ হাজার ডলার ইন্স্যুরেন্স সুবিধা থাকে।
উল্লেখ, গতকাল ১২ মার্চ সোমবার দুপুর আড়াইটায় ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণ করতে গিয়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের একপাশে আগুন ধরে যায়। এমনটা হওয়ায় পাশের একটি ফুটবল মাঠে যেয়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায় বিমানটি।
৬৭ জন যাত্রী আর ৪ ক্রু, মোট ৭১ জন আরোহী নিয়ে নেপালের উদ্দেশ্যে রওনা করেছিল বিমানটি। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ২৮ বাংলাদেশিসহ নিহত হয়েছেন ৫১ জন।