দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে মুসলিমদের জন্য নামায ঘর তৈরি করবে সিউল সিটি কর্তৃপক্ষ। বিদেশী মুসলিম পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সিউল সিটি। আগামী মে মাসের মধ্যেই এই নামায ঘর প্রস্তুত হবে বলে জানিয়েছে।
সিউল সিটি নামায ঘর তৈরির জন্য ২০০ মিলিয়ন উওন খরচ করবে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও মধ্য প্রাচ্যের পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য এবং গ্রীষ্মকালীণ ভ্রমণকারীদের কথা চিন্তা করে তিনটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় তিনটি নামায ঘর তৈরি করবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পর্যটন সংস্থা’র (কেটিও) দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৬ সালে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা পর্যটকদের সংখ্যা ছিল ৯৮৫,৮৫৮ জন। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৭৪০,৮৬১ জন। এক বছরে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা পর্যটকদের সংখ্যা প্রায় ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোরিয়াতে পর্যটক বৃদ্ধিতে মুসলিম দেশগুলোকে আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে কোরিয়ান হাল্লিও এবং কে-পপ একটি বড় ভূমিকা পালন করছে। মুসলিম পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও কোরিয়াতে নামায ঘর বা মসজিদের সংখ্যা অনেক কম। কোরিয়া ৭৮টি জায়গায় নামাজের ব্যাবস্থা আছে যার বেশিরভাগই মসজিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা হাসপাতালেন। যা মুসলিম দর্শনার্থীদের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনের ক্ষেত্রে খুঁজে পেতে কষ্টসাধ্য। অনেক সময় দূরে হওয়ায় যাওয়া সম্ভব হয়না।
সিউলে ১৪ টি স্থানে মসজিদ কিংবা নামাজ ঘর আছে। মসজিদ ছাড়াও পর্যটন স্থানে তিনটি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি এবং বিভিন্ন হাসপাতালে ছয়টি প্রার্থনা ঘর পাওয়া যায়।
সিউল সিটি জানিয়েছে বেশিরভাগ মুসলিম পর্যটকরা মিয়ংদোং এবং দোংদেমুন মার্কেটে কেনাকাটা করতে পছন্দ করে কিন্তু সেখানে প্রার্থনা করার কোন সুযোগ নেইউ। যা পর্যটকদের অপছন্দের একটি কারণ।
সিউল সিটি কোরিয়ায় বসবাসকারী মুসলমানদের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহের পর সিউল শহরের পর্যটক তথ্য কেন্দ্রের সাথে প্রার্থনা কক্ষ বা নামায ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। পুরুষদের এবং মহিলাদের প্রার্থনা কক্ষ পৃথক করা হবে।