Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

a-glass-of-waterঅনেক অভিজ্ঞতা থেকে আপনি আগেভাগেই শিক্ষাটা পেতে পারেন। তেমনই এক শিক্ষা আজ আমরা একজনের জীবনযাপন থেকে গ্রহণ করতে পারি। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি খাওয়া সুস্বাস্থ্যের জন্যে অতি জরুরি। কিন্তু কয়জন এই নিয়ম একেবারে নিখুঁতভাবে পালন করেন? একজন লিখেছেন তার অভিজ্ঞতার কথা। প্রতিদিন সকালে তিনি এক লিটার পানি খেয়ে দিনের শুরু করেন। এর ফলে তার কী অভিজ্ঞতা হলো? আজ সেই কথাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এখানে তার জীবনযাপনের চিত্র থেকেই বাকি ছবিটা স্পষ্ট হবে। তিনি লিখেছেন, আমি ৯টা-৫টা অফিস করি। কাজেই স্বাস্থ্য নিয়ে এত পরীক্ষা-নিরীক্ষা সময় আমার হাতে নেই। গাড়িতে যেতে যেতে সকালের নাশতা করা হয়। অর্থাৎ, স্বাস্থ্যরক্ষায় কিছু কাজ সম্পন্ন করার সময় আমার হাতে নেই। একটা পর্যায়ে একেবারেই অসচেতন হয়ে পড়লাম।

chardike-ad

একদিন সেলুনে গেলাম। সেখানে এক বিউটি এক্সপার্ট বললেন, আমার ত্বক নাকি দারুণ শুষ্ক। বিষয়টা মাথায় রেখে আমি বাড়িতে ফিরলাম। ভালো করে ত্বক পর্যবেক্ষণ করলাম। শুষ্ক ত্বক, ক্রমশ হলুদ হতে থাকা চোখ, খেতে না চাওয়া পাকস্থলী আর কাজের ক্লান্তিতে আমার অবস্থা বেগতিক।

একদিন দেহের জন্যে পানির কার্যকারিতা নিয়ে একটা নিবন্ধ চোখে পড়ল। ভাবলাম আমিও পরীক্ষা চালাই। কেবল পানিই তো খেতে হবে। একটু বেশি খাওয়ার কথাই ভাবলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক লিটার পানি খাব ভাবলাম। টানা এক মাস খাওয়ার পর যা ঘটল তা চিন্তাই করা যায় না। যা যা ঘটল তার একটা তালিকা দেওয়া যাক-

১. সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আর ঝিমুনি হতো না। এই সতেজ ভাবটা গোটা দিন বিরাজ করত। ক্রমেই কফির প্রতি নেশাটা কেটে যেতে থাকল। সকালে হয়তো এক কাপ চায়েই তুষ্টি এসে যেত। ক্যাফেইনের ঝক্কি আর নিতে হলো না।

২. আরেকটি অদ্ভুত অনুভূতি হতো। নিজেকে অনেক হালকা মনে হতো। দিনে বেশ কয়েকবার মূত্র ত্যাগ করতে হতো। কিন্তু দেহটা ওজনদার বলে মনে হতো না। ফুরফুরে অনুভূতি বিরাজ করত। দেহটাকে ভারী মনে হতো না।

৩. এই সামান্য অভ্যাসে দিনের শেষে আমার অবস্থা সেই সকালের মতোই থাকত। সামান্য অভ্যাস আমার দৈনন্দিন জীবনে বড় পরিবর্তন আনল। জীবনটা যেন এক বিষাক্ত পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে মনে হতে থাকল।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া