Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

kolkataএবার কলকাতা বিমানবন্দরে শেয়াল তাড়ানোর হাতিয়ার হয়েছে কামান। দমদম পৌরসভা থেকে মশা মারার কামান ধার করে গত শনিবার থেকে বিমানবন্দরের চৌহদ্দিতে শেয়াল তাড়াতে নেমেছে বিশেষজ্ঞ দল।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে চেন্নাই থেকে কলকাতায় নামার সময়ে এক পাইলট একটি শেয়ালকে ঘুরতে দেখেন রানওয়েতে। বিমানের মুখ ঘুরিয়ে আবার উড়ে যান তিনি। কিন্তু বিমানবন্দরের অফিসাররা রানওয়েতে গিয়ে আর সেই শেয়ালকে দেখতে পাননি। ততক্ষণে আবার সে ঢুকে পড়েছে গর্তে।

chardike-ad

এটি কোনও নতুন ঘটনা নয়। এমন উৎপাত লেগেই থাকে। বিষয়টি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কোনও কারণে বিমান নামার পরে শেয়ালের সঙ্গে যদি ধাক্কা লাগে, তা হলে প্রাণ সংশয়ে পড়তে পারে যাত্রী ও বিমানকর্মীদের। কিন্তু কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না শেয়ালের দলকে। রানওয়ের পূর্ব প্রান্তে বিস্তীর্ণ যে জায়গা, সেখানে ইতি-উতি ঝোপঝাড় আছে। তার ভিতরেই লুকিয়ে থাকে তারা। বেগতিক দেখলে গর্তে ঢুকে পড়ে।

বিমানবন্দরের ভিতরে বড় বড় নয়টি গর্ত খুঁজে পাওয়া গেছে। একটি মুখ বিমানবন্দরের ভেতরে, অন্যটি বাইরের দিকে। এসব গর্তে মশার কামান ব্যবহার করে ধোঁয়া দিয়ে শেয়ালগুলোকে বাইরে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

শেয়াল তাড়ানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কর্তা বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা কিছু দিন ধরেই এই কাজ করছি। প্রথমে খাঁচা রেখে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু শেয়ালরা যথেষ্ট বুদ্ধিমান। প্রথম দিকে কয়েকটি ধরা পড়লেও পরে সতর্ক হয়ে যায়।’’

জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে বিমানবন্দরের ভেতরে রানওয়ের চারপাশে ২৩টি খাঁচা রাখা হয়েছিল। প্রতিটি খাঁচার সঙ্গে ছিল ক্যামেরাও। খাঁচার ভিতরে রাখা থাকত জ্যান্ত মুরগি। প্রথম দিকে মুরগির লোভে খাঁচায় ঢুকে ধরা পড়েছে কয়েকটি শেয়াল। ১৬-১৭টি শেয়াল এ ভাবে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে ক্যামেরার ছবিতে দেখা গিয়েছে, সতর্ক শেয়াল খাঁচার ভিতরে মুখ ঢুকিয়ে মুরগি ধরার চেষ্টা করলেও পা ভিতরে দিচ্ছিল না। ফলে খাঁচার ফাঁদ অকেজো হয়ে পড়ে। তখনই শুরু হয় গর্ত খোঁজার কাজ।

সূত্র- যমুনা নিউজ