ডিম থেকে বাচ্চা ফুটাতে বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন নাকি ‘তা’ দিয়েছিলেন। ব্যর্থ হয়েছিলেন এডিসন। মানুষের তায়ে কী আর মুরগীর ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে? এবার জানা গেছে আশ্চর্যজনক এক ঘটনা। ডিমে ‘তা’ দেয়ার মতো নিছক হাস্যরসাত্মক ঘটনা নয় এটি, গত দু’বছর ধরে ২০টি আস্ত ডিমই পেড়েছে এক কিশোর! বিশ্বাস হচ্ছে না? বিশ্বাস করেননি চিকিৎসকরাও। কিন্তু তাদের সামনেই ২টি ডিম পেড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে কিশোরটি। এমন ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায়।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সাউথ সুলাওয়েসি প্রদেশের কাবুপাতেন গোয়া গ্রামের বাসিন্দা কিশোর আকমল ২০১৬ সালে থেকে এ পর্যন্ত ১৮টি ডিম পেড়েছে। এ কারণে প্রায়ই তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।
আকমলের বাবা বাবা রুসলি বলছেন, তার ছেলে যেসব ডিম পাড়ছে সেগুলো ভাঙার পর দেখা যাচ্ছে সেগুলো হয়তো পুরোটাই কুসুম, নয়তো পুরোটাই ডিমের সাদা অংশ।
বর্তমানে ‘সায়েচ ইউসুফ সুংগুমিনাসা’ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আকমলের। এদিকে এ ঘটনায় চিকিৎসকরা রীতিমতো অবাক। এক্সরে করে তার পেটের ভেতরে দুটি মুরগির ডিমের মতো বস্তুও খুঁজে পেয়েছে তারা। পরে তার পায়ু পথে অপারেশন করে সেগুলো বের করে আনা হয়।
হাসপাতালের মুখপাত্র মুহাম্মদ তাসলিম বলেছেন, আমাদের সন্দেহ আকমলের পায়ুপথ দিয়ে এগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে প্রবেশ করানো হয়েছে। তবে আমরা এ ধরনের কোনো কিছু পাইনি। বৈজ্ঞানিকভাবে মানুষের দেহের ভেতরে মুরগির ডিম সৃষ্টি হতে পারে না। মানুষের হজম প্রক্রিয়া বিবেচনায় এ অসম্ভব।
তবে আকমলের বাবা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ছেলের শরীরে ডিম ঢোকানোর ঘটনা ঘটেনি। আর কেনই বা তারা এটা করতে যাবেন?’
তবে ঘটনা যাই হোক, আজমলকে নিয়ে পুরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সূত্র- যমুনা অনলাইন