টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনো রানই নিরাপদ নয়। সেটা যেন আরো একবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। মার্টিন গাপটিলের ১০৫ ও কলিন মানরোর ৭৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস বৃথা গেল।
ট্রান্স-তাসমান ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড আজ মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়ার। এই ম্যাচে জিততে পারলে ফাইনালে উঠতে পারত তারা। কিন্তু ২৪৩ রান করেও জয় পায়নি ব্ল্যাক ক্যাপসরা। তাদের ছুড়ে দেওয়া ২৪৪ রানের টার্গেট ৭ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে এতো রান তাড়া করে জয় পায়নি কোনো দল।
আগেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। আজকের ম্যাচটি তাদের জন্য ছিল আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু সেই ম্যাচও জিতে অপরাজিত থেকে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে তারা। প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। ওই ম্যাচে ইংল্যান্ড হেরে গেলে ফাইনাল খেলবে নিউজিল্যান্ড।
তবে আজকের ম্যাচটি হতাশ করতেই পারে নিউজিল্যান্ডের সমর্থকদের। অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে রেকর্ড ২৪৩ রান সংগ্রহ করে। যা টি-টোয়েন্টির ক্রিকেট ইতিহাসে নবম সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। নিউজিল্যান্ডকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে ব্যাট হাতে অবদান রাখেন মার্টিন গাপটিল। তিনি ৫৪ বলে ৬টি চার ও ৯ ছক্কায় ১০৫ রান করেন। তার সঙ্গে প্রথম উইকেটে ১৩২ রানের জুটি গড়ার সময় ৩৩ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন কলিন মানরো। তাতে ২৪৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার কেন রিচার্ডসন ও আন্দ্রে তায় ২টি করে উইকেট নেন।
রেকর্ড ২৪৪ রান তাড়া করতে নেমে ৮.৩ ওভারেই ১২১ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। উদ্বোধনী জুটিতে এই রান তোলেন ওয়ার্নার ও ডার্চি শর্ট। দলীয় ১২১ রানের মাথায় ২৪ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৯ রান করে আউট হন ওয়ার্নার। এরপর শর্ট ৪৪ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৬ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় সহজ করে তোলেন। শেষ দিকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৪ বলে ৩১ ও অ্যারোন ফিঞ্চ ১৪ বলে অপরাজিত ৩৬ রান তুলে ৭ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেন। অস্ট্রেলিয়ার ডার্চি শর্ট ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।