Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
turkey
তুরস্কে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

বর্তমানে বিশ্বের আলোচিত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো তুরস্ক। এর পেছনের কারণ হিসেবে প্রথমেই তাদের উন্নত শিক্ষাব্যবস্থার কথা চলে আসে। আর এই দেশ থেকে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার সুযোগ করে দিতে তুরস্ক সরকার তাদের বিদেশবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ৯৩টি দেশের পাঁচ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও গবেষণা মোট চারটি বিভাগের আবেদন গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমিকভাবে নেওয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্ধীরা আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির বৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আর এপ্রিলে শুরু হবে স্নাতক পর্যায়ের আবেদন।

chardike-ad

ভৌগোলিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে অবস্থান দশম স্থানে। আর বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে তুরস্কের ৫০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে প্রথম সারির দিকে। তবে এখানে ওসমানীয় খেলাফতের সময় থেকে উন্নত ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পাশাপাশি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানটা তুলনামূলকভাবে এগিয়ে। এখানে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীরা মেডিকেল থেকে শুরু করে নিজের ইচ্ছে মতো বিষয়ে পড়তে পারেন। এ ক্ষেত্রে মেডিকেলের জন্য ৯০ শতাংশ এবং অন্যান্য বিষয়ের জন্য ৭৫ শতাংশ মার্ক দেখাতে হয়।

turkey
তুরস্কে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

তুরস্কে ৮১টি শহরে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১০৫টি। শিক্ষা বৃত্তিতে আসা শিক্ষার্থীরা এই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এখানে আসা শিক্ষার্থীদের থাকা, খাওয়া, টিউশন ফি থেকে শুরু করে বিমানে আসা-যাওয়ার টিকিটও সরকারিভাবে দেওয়া হয়।

চার বছরেরে মূল স্নাতক কোর্সের সঙ্গে এক বছরের তুর্কি ভাষা শিক্ষা কোর্স এবং স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির শিক্ষা কার্যক্রম যথাক্রমে তিন ও পাঁচ বছর সময়ে শেষ হয়।

আবেদন তুরস্কের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে করতে হয়। আর আবেদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ভিসা নেওয়া পর্যন্ত পুরোটাই ফ্রি। অনলাইনে আবেদনের পর প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃতদের বাংলাদেশে তুরস্কের দূতাবাসে মৌখিক পরীক্ষায় পাস করার পরে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। আর এই সকল কার্যক্রম আবেদন থেকে শুরু করে তুরস্কে এসে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রায় তিন থেকে চার মাস সময় লাগে।

আগ্রহীরা www.turkiyeburslari.gov.tr ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন।

সৌজন্যে: প্রথম আলো