ছয় ম্যাচের সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না দক্ষিন আফ্রিকার। অবশেষে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৫ উইকেটের জয় পেল দলটি।
জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রোহিত শর্মার উইকেট হারায় ভারত। তবে বিরাট কোহলি আর শিখর ধাওয়ান মিলে ১৬৮ রানের বিশাল জুটি গড়ে তোলেন। ৭৫ রান করে আউট হন কোহলি। ৮৩ বলে খেলা ইনিংসটি ছিল ৭ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় সাজানো। ১০৫ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন শিখর ধাওয়ান। ১০ বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান তোলে ভারত।
শেষ দিকে ৪৩ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ১৮ রান করেন স্রেয়াশ আয়ার। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি এবং কাগিসো রাবাদা। ১টি করে শিকার মরনে মর্কেল এবং ক্রিস মরিসের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দেখে শুনে ব্যাট করতে থাকে দুই ওপেনার। তবে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম (২২)। আবার খেলা শুরু হলে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮ ওভারে ২০২ রানের। এ অবস্থায় দলীয় ৭৭ রানের মধ্যে ফিরে যান হাশিম আমলা (৩৩) আর জেপি ডুমিনিও (১০)।
চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা ডি ভিলিয়ার্সও ফিরে যান দ্রুতই। ১৮ বলে ২ ছয়ে ২৬ রান করে গতি কিছুটা বাড়িয়ে দেন বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান। এরপরও দুইবার জীবন পেয়ে খোলস ছেড়ে বের হন মিলার। পঞ্চম উইকেটে ক্লাসেনের সঙ্গে গড়েন ৭২ রানের জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ২৮ বলে ৩৯ রান করেন মিলার।
বাকি কাজটুকু ফেলুকওয়ায়োকে নিয়ে শেষ করেন ক্লাসেন। মাত্র ৫ বলে অপরাজিত ২৩ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন ফেলুকওয়ায়ো। আর ম্যাচ সেরা ক্লাসেন ২৭ বলে অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে।