Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এ বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত শীতকালীন অলিম্পিকে বেশ বন্ধুসুলভ আচরণ দেখাচ্ছে শত্রু দেশ উত্তর কোরিয়া। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি নিজ দেশের এমন বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিশ্চয়ই মেনে নিতে পারছেন না কিম হাইয়ুন-হুই।

chardike-ad

এই নারী উত্তর কোরিয়ার সাবেক গুপ্তচর। ১৯৮৮ সালে সিউলে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে এক দক্ষিণ কোরীয় বিমানে বোমা বসিয়েছিলেন তিনি। এই সেই নারী গুপ্তচর যিনি ১১৫ জন মানুষ হত্যার জন্যে দায়ী।

উত্তর কোরিয়া সত্যিকার অর্থেই কতটা ইতিবাচক সে সম্পর্কে হাইয়ুন-হুই কথা বলেন বিবিসি`র সিউল করেসপন্ডেন্ট লরা বিকারের সঙ্গে।

তাকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বিবিসি। ফুটেজের শুরুতে বিমান থেকে দু`হাত ধরে এবং মুখে কাপড় বেঁধে যে নারীকে নামাতে দেখা যাচ্ছে তিনিই সেই ব্যক্তি, যিনি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান উড়িয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকের কয়েক মাস আগের ঘটনা। ওই ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন ১১৫ জন বিমানযাত্রী।

ধরা পড়ার পর তিনি এবং তার সঙ্গীর কাছে বিষাক্ত সায়ানাইড সিগারেটও পাওয়া যায়। তাদের পরিকল্পনা ছিল, যদি ধরা পড়েন তো দুজনই সায়ানাইড খেয়ে আত্মঘাতী হবেন। দুজন খেয়েছিলেনও তা। কিন্তু হাইয়ুন-হাই বেঁচে যান। মারা যান তার সঙ্গী।

এখন তাকে রাখা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোপন একটি জায়গায়। তাকে পাহাড়া দেয় নিরাপত্তাকর্মীরা। কারণ উত্তর কোরিয়া তাকে মেরে ফেলতে চায়। তাকে বিয়ে করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার আরেক গুপ্তচর। তার কাছেই মুখ খুলেছিলেন তিনি। বিবিসি বাংলা থেকে।