ফ্যাশন, গবেষণা এবং প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান শহর সিউল সিটি নতুন একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২২ সালের মধ্যে ৬০ হাজারের বেশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। কর্মসংস্থান ছাড়াও এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন, সিউলকে ফ্যাশন হাব হিসেবে গড়ে তোলা, গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়ার আশা প্রকাশ করেছে নগরের কর্তৃপক্ষ। নতুন পরিকল্পনাগুলো নিয়ে ‘ভবিষ্যৎ উদ্ভাবনী বৃদ্ধি প্রকল্প’ ঘোষণা করেন সিউলের মেয়র পার্ক উওন সুন।
সিউলের ‘ভবিষ্যৎ উদ্ভাবনী বৃদ্ধি প্রকল্প’ ঘোষণা করতে গিয়ে নগরপিতা পার্ক উওন সুন বলেন, লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে যেতে সিউলের ৩.৪ ট্রিলিয়ন উওন (৩.২ মার্কিন ডলার) ব্যয় হবে। যার মাধ্যমে ১০ হাজার ছোট ও মাঝারি আকারের উদ্যোগ এবং নতুন কোম্পানিকে সহায়তা দেওয়া হবে।
সিউল সিটির মেয়র বলেন ‘সিউলের এখন অতীতের মত হার্ডওয়্যার উন্নয়ন এর প্রয়োজন নেই বরং জনশক্তির ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি ২০২২ সালের মধ্যে সিউল এমন এক জায়গায় পরিণত হবে যেখানে মানুষ নতুন নতুন জিনিষ আবিষ্কার করতে পারবে এবং কর্মসংস্থান এর নতুন পথ সৃষ্টি করে নাগরিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করবে’।
পরিকল্পনায় বেশ কয়েকটি ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যার মধ্যে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অন্যতম। এই ইন্ডাস্ট্রির জুতা, কাপড় এবং গহনা তৈরীকারক ১০০ কোম্পানিকে সিউল সাহায্য করবে। এর আওতায় সিউলের ফ্যাশন হাব বলে খ্যাত দুংদেমুনে ‘সিউল ফ্যাশন ইনোভেটিভ হাব’ করা হবে। যেখানে ডিজাইনার থেকে রিটেইলার পর্যন্ত সকল স্টেকহোল্ডারকে সংযোগ করা হবে।
এছাড়া সিউল সিটি বায়োটেকনোলজি এবং তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা, এনিমেশন ইন্ডাস্ট্রিসহ নতুন নতুন বেশ কিছু প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে।
বাংলা টেলিগ্রাফ/সুয়াইবা শিকদার