কোরীয় উপদ্বীপে এখনই যুদ্ধের কথা ভাবছে না যুক্তরাষ্ট্র। চলমান উত্তেজনা নিরসনে রাজনৈতিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে সংকট সমাধানের উপর দিচ্ছে দেশটি। টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে উত্তর কোরিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি জোসেফ উন এই বক্তব্য দেন। এর মধ্যেই জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি পিয়ংইয়ং এর ওপর চাপ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নিতে উত্তর কোরিয়ার একটি অ্যাথলেট দল বৃহস্পতিবার পিয়ংছাং এ পৌঁছেছে।
শুভ্র তুষারের চাদরে ঢাকা দক্ষিণ কোরিয়ার মাসিক স্কি রিসোর্টে যৌথভাবে প্রশিক্ষণ নিতে দেখা যায় উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাথলেটদের। জানুয়ারি মাসে দুই কোরিয়ার মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী উত্তর কোরিয়ার ১২ জন অ্যাথলেট গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছায়। তারা ঐক্যবদ্ধ কোরিয়ান দলের হয়ে আইস-হকি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবে।
বৃহস্পতিবার আরো ১০ অ্যাথলেটসহ ৩২ জন উত্তর কোরীয় দক্ষিণ কোরিয়ার গাংনুং এলাকায় পৌঁছায়। আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিক উপলক্ষে আগামী সপ্তাহে আরো ৩ শতাধিক উত্তর কোরীয়কে স্বাগত জানাবে সিউল।
এরমধ্যেই পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে পিয়ংইয়ং-এর ওপর চাপ অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি।
জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে আমরা চীন ও রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবো। তবে এরইমধ্যে আমরা উত্তর কোরিয়ার আচরণে পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। যদিও পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার আগ পর্যন্ত তদের ওপর এ প্রভাব অব্যাহত রাখা কষ্টসাধ্য হবে।’
একইদিন কোরিয়া সংকট নিরসনে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন উত্তর কোরিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি জোসেফ উন। টোকিও-তে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
উত্তর কোরিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি জোসেফ উন বলেন, ‘আগেও বলেছি এবং এখনও বলছি আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু সমস্যা সমাধান করতে চাই। যা আলোচনার মাধ্যমে করা সম্ভব। এ বিষয়ে সামরিক পদক্ষেপসহ সব বিকল্পই আমাদের টেবিলে রয়েছে। তবে আমরা এখনই এ ব্যাপারে ভাবছি না।
এদিকে, উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনে। ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পিয়ংইয়ং-এর ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগে সামরিক পদক্ষেপের ওপর জোর দিলেও এর ফলে হাজার হাজার মার্কিনীর জীবন হুমকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ভিক্টোর চা।