ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত ইরানের পারমাণবিক চুক্তিতে কোনো ধরনের পরিবর্তন অানা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে তেহরান। চুক্তি বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন করে কঠিন ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও শনিবার প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির ব্যাপারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, এ চুক্তিতে কোনো ধরনের সংশোধন মেনে নেবে না ইরান, সেটা এখনই অথবা ভবিষ্যতে হলেও। একই সঙ্গে জেসিপিওএ’র সঙ্গে অন্য কোনো ইস্যুকে মেলাতে দেয়া হবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার ‘শেষবারের মতো’ ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রেকে সরিয়ে নিচ্ছেন না বলে ঘোষণা দেন। এছাড়া ইরানের বিচারবিভাগের প্রধান আয়াতুল্লাহ সাদেক আমোলি লারিজানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞার পর ইরান পাল্টা প্রতিশোধ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে, রেড লাইন অতিক্রম করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিশোধের হুমকি দিলেও কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে সে ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো ধারণা দেয়নি। ট্রাম্প শুক্রবার ‘প্রচণ্ড অনীহা’ নিয়ে ঘোষণা করেন, ইরানের ওপর পরমাণু কর্মসূচি-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি তিনি চার মাসের জন্য স্থগিত করছেন।
মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি হচ্ছে শেষ সুযোগ। আগামী ৪ মাসের মধ্যে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন বলেও হুমকি দেন। একই সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ইরানের ১৪ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তিনি ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক সংকট সমাধানে শেষ সুযোগ দিচ্ছেন। হোয়াইট হাউস চায়, চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুক।
সাম্প্রতিক চুক্তি অনুযায়ী, ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালে। ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিরও লাগাম টানতে চান ট্রাম্প।