saudi-women-in-stadiumএই প্রথমবারের মতো স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার সুযোগ পেলেন সৌদি আরবের নারীরা। শুক্রবার রাজধানী রিয়াদের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আল আহলি এবং আল বাতিন দলের একটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে মাঠে গিয়েছেন নারীরা। এছাড়া জেদ্দা এবং পূর্বাঞ্চলীয় দাম্মাম শহরে আরও দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেও খেলা দেখার সুযোগ পাবেন নারীরা।খবর বিবিসি।

এর আগে গত অক্টোবরে জেনারেল স্পোর্টস অথরিটি (জিএসএ) জানিয়েছিল, ২০১৮ সালের শুরুতেই তিনটি স্টেডিয়ামে নারীরা খেলা দেখার সুযোগ পাবেন। ওই স্টেডিয়ামগুলোতে আগে শুধুমাত্র পুরুষরাই খেলা দেখার সুযোগ পেতেন। স্টেডিয়ামগুলোতে নারীদের জন্য আলাদাভাবে বসার ব্যবস্থা করা হবে।

chardike-ad

রিয়াদের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ছাড়াও জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি এবং দাম্মামের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন ফাহাদ স্টেডিয়ামে নারীরা খেলা দেখার সুযোগ পাবেন।

শনিবার জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সেন্টারে আল হিলাল এবং আল ইতিহাদ দলের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার দাম্মামের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন ফাহাদ স্টেডিয়ামে আল ইত্তিফাক ও আল ফয়সালি দলের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এসব ম্যাচ উপভোগ করার সুযোগ পাবেন নারীরা।

সাম্প্রতিক সময়ে নারীদের জন্য বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টেরও আয়োজন করেছে সৌদি। গত বছরের নভেম্বরে নারীদের বাস্কেটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। জেদ্দায় আয়োজিত ওই টর্নামেন্টে ৩ হাজার নারী অংশ নেন।

তবে এ ধরনের অনুষ্ঠানে অর্থাৎ জনসম্মুখে মুসলিম নারীদের ঢিলাঢালা কাপড়, আবায়া বা মাথায় স্কার্ফ পরতে বলা হয়েছে। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদির ভিশন ২০৩০ পূরণের লক্ষ্যে নারী ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিচ্ছে সৌদি। ২০১৮ সালে জুন থেকে গাড়ি চালানোর অনুমতিও পাচ্ছেন নারীরা। ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারীদের বেশি বেশি সুযোগ-সুবিধা এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।

এ মাসেই প্রথমবারের মতো সৌদির জাতীয় দিবস উদযাপনের সুযোগ পাবে নারীরা। সৌদিতে সিনেমার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল গত বছর তাও প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়। আগামী মার্চেই প্রথমবারের মতো সৌদিতে সিনেমা প্রচার করা হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

গত ডিসেম্বরে নারীরা একটি কনসার্টেও অংশ নেয়ার সুযোগ পায়। এটি ছিল দেশের প্রথমবারের মতো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত কনসার্ট যেখানে এখন নারী গায়িকা গান গেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছিলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে নারীরা বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পেলেও এখনও পর্যন্ত পরিবারের পুরুষ সদস্যদের অনুমতি ছাড়া অনেক কাজই করতে পারেন না সৌদির নারীরা। পাসপোর্টের আবেদন, বিদেশে ভ্রমণ, বিয়ে, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা, ব্যবসা করা, চিকিৎসা নেয়াসহ বেশ কিছু বিষয়ে এখনও পরিবারের পুরুষদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয় তাদের।