prawnচিংড়ি ও কাঁকড়া খাওয়া নাকি হারাম- এমন বিতর্কিত ফতোয়া জারি করেছে ভারতের হায়দরাবাদের জামিয়া নিজামিয়া। ভারতের অন্যতম প্রাচীন মুসলিম এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নানা সময় ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া জারি করে।

১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত জামিয়া নিজামিয়ার ফতোয়ায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে গোটা দেশে। ১ জানুয়ারি ওই প্রতিষ্ঠান হঠাৎ ফতোয়া জারি করে মুসলিম নাগরিকদের উদ্দেশ্যে, ‘কেউ চিংড়ি খাবেন না। ওটা মাছ নয়। হারাম।’ একই ফতোয়া দেওয়া হয়েছে কাঁকড়ার ক্ষেত্রেও।

chardike-ad

পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম এবিপি আনন্দের খবরে বলা হয়েছে, ফতোয়াটি জারি করেছেন হায়দরাবাদের ইসলামীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া নিজামিয়ার প্রধান মুফতি মহম্মদ আজিমুদ্দিন। নানা সময় প্রতিষ্ঠানটির জারি করা ফতোয়া নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা হয়েছে। এর আগে তারা ব্যাংক কর্মীকে বিয়ে এবং রঙিন বোরখা পরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি মুসলমানদেরকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে নিষেধ করে সমালোচিত হয়েছিল।

নতুন ফতোয়ায় বলা হয়েছে, চিংড়ি আসলে পোকা, কোনওভাবেই মাছের পর্যায়ে পড়ে না সে। তাই চিংড়ি খাওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, মুসলমানরা তা খেতে পারবেন না।

ইসলামীয় নিয়মে খাবার তিন রকম- হালাল, যা আইনিভাবে সিদ্ধ, হারাম,যা পুরোপুরি নিষিদ্ধ ও মাকরুহ, যা খাওয়া উচিত নয়।

তবে এই ফতোয়াকে গ্রহণ করছেন না ইসলামী চিন্তাবিদদেরই একটি অংশ। ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎদারে আনোয়ারুল ‍হুদা নামে একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মেরাজউদ্দিন বলেছেন, ‘দারুল উলুম দেওবন্দ এক সময় চিংড়িকে মাকরুহ বিবেচনা করত। পরে তারা একে হালাল ঘোষণা করেছে। তবে মুসলমানদের দুই মাজহাবের মধ্যে হানাফি মতে চিংড়ি খেতে উৎসাহ দেয়া হয় না। তবে সাফিই মতে এটা হালাল। তারপরও যদি হানাফি কেউ চিংড়ি খায় এটা কোনো অপরাধ হবে না। চিংড়ি কোনো মাছ না হলেও যারা এটা খায় তারা একে কোনো পোকা হিসেবে খায় না। ফলে এটা হারাম খাদ্য হতে পারে না।’