Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

shajalal-international-airportপ্রতিনিয়ত ফ্লাইট ও যাত্রী সংখ্যা বাড়তে থাকায় ২০১৯ সালের মধ্যে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনালের প্রয়োজন হবে। এ সম্ভাব্যতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল, দ্বিতীয় রানওয়ে এবং অন্য অবকাঠামোর উন্নয়নকাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী ওই নির্দেশনা দিলেও এতোদিনে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন ও খসড়া মাস্টার প্ল্যান উপস্থাপন ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।

chardike-ad

তবে এ বিষয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান।

তিনি বলেন, একটু দেরি হচ্ছে এ কথা অস্বীকারের সুযোগ নেই। তবে ২০১৮ সালের মধ্যেই আমরা শাহজালাল বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, দ্বিতীয় রানওয়ে এবং অন্য অবকাঠামোগুলোর উন্নয়নকাজ শুরু করতে পারবো। ২০২০ সালের মধ্যেই কাজ সম্পন্নের পরিকল্পনা রয়েছে।

কাজ শুরুর ধীরপ্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল তৈরির নির্ধারিত স্থানটিতে এখনো বেশকিছু প্রাইভেট হেলিকপ্টারের হ্যাঙ্গার রয়েছে। সেগুলো অপসারণে আইনি কিছু সমস্যা থাকায় তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরুর প্রক্রিয়ায় ধীরগতি দেখা দেয়। তবে আইনি বাধা দূর হচ্ছে। বড় ধরনের কোনো জটিলতা না হলে ২০১৮ সালের যেকোনো সময় আমরা তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু করতে পারবো। তৃতীয় টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে জাপানের অনুদানে- জানান ফারুক খান।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, দ্বিতীয় রানওয়ে এবং অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন ও খসড়া মাস্টার প্ল্যান উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরে বছরে ৮০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু ওই বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই ৬৭ লাখ যাত্রী বিমানবন্দর ব্যবহার করেছেন। দেশের প্রধান এ বিমানবন্দরের যাত্রী সংখ্যা প্রতি বছর ৯ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তে থাকায় ২০১৯ সালে নতুন টার্মিনালের প্রয়োজন হবে।

ওই মাস্টার প্ল্যান উপস্থাপন অনুষ্ঠানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তৃতীয় টার্মিনালের কাজ সম্পন্নের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু উন্নয়ন সহযোগীরা এ প্রকল্পে অর্থায়নে রাজি না হওয়ায় দেখা দেয় জটিলতা। পরে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) এ প্রকল্পে অর্থায়নে রাজি হয়।

চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৬১০ কোটি ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।