বছর প্রায় শেষ হতে চলেছে। বছর শেষে অনেকেই দেশের ভেতরে অথবা দূর দেশে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ভ্রমণে আমরা ছোটখাটো অনেক বিষয় ভুলে যাই। বেড়ানোর জন্য বরাদ্দ বাজেটও আমরা হেরফের করে ফেলি অজান্তে।
ভ্রমণ বিষয়ে অর্থনৈতিক ও অন্যান্য টুকিটাকি বিষয়ে আরেকটু জানতে পড়তে পারেন এই লেখাটি।
১) অপরিচিত কোনও স্থানে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে অনেকেই হোটেল ঠিক করে ফেলেন আগে। এটা ঝুঁকি কমালেও অনেক ক্ষেত্রে অসুবিধায় ফেলে দেয়। তাই উপস্থিত থেকে হোটেল বুক করা সবদিক থেকে ভালো।
২) দেশের বাইরে যাওয়ার আগে অনেকেই একবারে অনেক পরিমাণ কারেন্সি নিয়ে যান মানি এক্সচেঞ্জ করে। এটা না করে টুকটাক খরচের মতো কারেন্সি নিয়ে যান। সঙ্গে ব্যাংক কার্ড ও ডলার নিয়ে যান। এতে সুবিধা মতো রেটে মানি এক্সচেঞ্জ করে নিতে পারবেন।
৩) অপরিচিত কোনও স্থানে গিয়ে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ব্যবহার করতে পছন্দ করেন না অনেকেই। তবে যাতায়াতের সুবিধার্থে ভ্রমণে এ ধরনের অ্যাপসের কোনও বিকল্প নেই।
৪) দেশের বাইরে কোথাও গেলে হোটেলের বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই পাসপোর্ট সঙ্গে রাখবেন। সবসময় পাউচ টাইপের ব্যাগ রাখবেন সঙ্গে যেখানে পাসপোর্ট রাখতে পারবেন।
৫) পাসপোর্ট, টাকা, মোবাইল ফোন, ক্রেডিট কার্ড সব এক ব্যাগে না রাখাই ভালো। এতে ছিনতাই হলে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যেতে হবে।
৬) যে দেশে ভ্রমণ করবেন সেদেশের টিপস দেওয়া বিষয়ে জ্ঞান রাখুন। রেস্টুরেন্ট, হোটেল, ট্যাক্সি এইসব ক্ষেত্রের টিপস দেশ ভেদে ভিন্ন হয়।
৭) সব পর্যটন দেশেই দেশের দর্শনীয় স্থানের পরিচিতি সমৃদ্ধ বুকলেট থাকে। পর্যটক হিসেবে সবসময় এসব তথ্যের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল না হওয়াই ভালো। সেখানে শুধু বড় বড় পর্যটন স্থানের পরিচিতি থাকে। সবচেয়ে ভালো হয়, কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে সে স্থান নিয়ে পড়াশোনা করে নিন। তাহলে ছোটখাটো অনেক দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন।
৮) মাসে অতিরিক্ত ২৫ বা ৩০ ডলার অযথা খরচ করতে কে চায়? সুতরাং বাড়িতে ফিরেই ইন্টারন্যাশনাল ডাটা প্ল্যান বন্ধ করুন তা না হলে আপনার প্রতি মাসে ডাটা প্ল্যান বাবদ অর্থ খরচ হবে।
৯) আপনি যে ব্যাংকে লেনদেন করবেন অথবা যে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, সেই ব্যাংক অথবা ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিকে আপনার ভ্রমণ বিষয়ে জানিয়ে রাখুন। ফলে তারা সন্দেহপ্রবণ হবে না। এমনকি এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করারও সম্ভাবনা থাকবে না।